ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
শিল্প শহর ছাতকে মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যার পর পরই এসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবকীরা মাদকদ্রব্য বেচা-কেনায় সক্রিয় হয়ে উঠে।
শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে অনেকটা খোলামেলাভাবেই বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ। এর সাথে গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি হয়। বিগত দিনে যারা এসব মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল তারাই ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পুরোনো মাদক ব্যবসা নতুন করে আবারো শুরু করেছে।
এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিনই বসছে জুয়ার আসর। শহরের কয়েকটি এলাকায় চলছে নিয়মিত পতিতাবৃতি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে তখন এসব অপকর্মে লিপ্তরা তাদের অসামাজিক কর্মকান্ড প্রসারিত করে সামাজিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে।
ফলে প্রায়ই ঘটছে চুরি ও ছিনতাইর মতো ঘটনা। মোস্তফা কামাল ছাতক থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর এসব অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে আসছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখানে শোরগোল শুরু হলে এ সুযোগটা কাজে লাগাতে দু’একজন পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠে মাদক ব্যবসায়ীরা।
শহরের শহীদ মিনারের পিছনে, রেল কলোনী, লাফার্জ ফেরী ঘাট, ফকিরটিলা পয়েন্ট, সিমেন্ট কারখানা ৪নং এলাকা, নোয়রাই-ইসলামপুর, বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, লাকি কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্পটে ভারতীয় মদ, গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে।
এসব মাদক ব্যবসায়ীরা নিজে বা সহযোগিদের মাধ্যমে মাদক দ্রব্য গন্তব্যে পৌছে দেয়া হয়। ছোরাব নগর এলাকাসহ শহরের তিনটি স্পটে চলছে পতিতাবৃতি। দিবা-রাত্রি অনেকটা ওপেন ভাবেই এসব মিনি পতিতালয় চলছে।
বাসষ্ট্যান্ড এলাকার এ কক্ষে ভারতীয় তীর খেলার আসর বসে বলে জানা গেছে। কতিপয় যুবক এ জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছে। ভুক্তভোগীরা জানান, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা জুয়া খেলার আসর পরিচলনা করছে। এখনই এসব অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে এখানের আইন-শৃঙ্ঘলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশংকা করছেন সূধীমহল।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, ছাতকে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশি অভিযান চলছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে তিনি সব সময়ই সক্রিয় রয়েছেন। সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান স্পষ্ট।