কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মাল্লীপে রহস্যজনকভাবে নিহত ছেলের মরদেহ দেশে ফেরৎ আনতে সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন মা। ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার মাল্লীপের হাড্ডু সিটিতে কর্ম প্রতিষ্ঠান ভুকসিজনের কর্মচারী বাংলাদেশী (কমলগঞ্জ উপজেলার) জুয়েল আহমদের (২৯) দেহ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও দেশে পরিবার পরিজনকে না জানিয়ে তাড়াহুড়ো করেই সেখানে (মাল্লীপে) দাফন করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের জুয়েলের মা বেলা বেগমের আবেদন সূত্রে জানা যায়, মাল্লীপের মোহাম্মদ রাশিদের প্রতিষ্ঠানে রোজগারের আশায় ২০১৩ সালে ছেলে মাল্লীপে পাড়ি জমিয়েছিল। তার পাসপোর্ট নম্বর- এএ ০৬০৫০০৩। মাল্লীপের মোহাম্মদ রাশিদরে প্রতিষ্ঠানে (ভুকসিজনে) দেড় বছর চাকুরী করার পর প্রতিষ্ঠানের মালিক তাকে নতুন দুটি ভিসা দেবার আশ্বাস দিলে জুয়েল বাংলাদেশ থেকে দুইজন শ্রমিকের কাছ থেকে অগ্রিম এক লাখ টাকা ও পাসপোর্ট গ্রহণ করে। এরপর জুয়েল প্রতিষ্ঠানের মালিক রাশিদের কাছে বকেয়া পাওনা দাবি করলে ৫ মার্চ আকস্মিকমভাবে জুয়েলের আবাসস্থলের ঘরে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।
মাল্লীপে বাংলাদেশীর মাধ্যমে জুয়েলের মা ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তবে বাংলাদেশ দূতাবাস বা মাল্লীপের মোহাম্মদ রাশিদের কাছ থেকে তিনি ছেলের মৃত্যুর কোন খবর পাননি। বাংলাদেশী দূতাবাসও দেশে জুয়েলের মার কোন অনুমতি না নিয়ে মাল্লীপে দাফন সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ছেলের মরদেহ দেশে ফেরৎ চেয়ে ও সুষ্ঠু তদন্ত্রক্রমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবী করেন বেলা বেগম। ইতিমধ্যে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ মাল্লীপে বাংলাদেশী দূতাবাসে দফায় দফায় আবদেন আকারে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া না পেয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন।
জুয়েলের মা বেলা বেগম বলেন, মাল্লীপের ছেলের কফিল মোহাম্মদ রাশিদই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলি রেখেছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসাবে ছেলে জুয়েলের মৃত্যুতে পুরো পরিবারটি এখন ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।