স্টাফ রিপোর্টার :
ওসমানীনগরের বাসিন্দা গৃহ পরিচারিকা লিপি বেগম (১৩) কে নগরীর খুলিয়াপাড়ার নিলিমা ৩ নং লন্ডন প্রবাসীর বাসায় গৃহকর্তা কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে খুন করে জোরপূর্বক লাশ দাফনের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ নিহতের গ্রামে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেটওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিহত লিপি বেগম বালাগঞ্জ উপজেলার ওসমানীনগর থানার পশ্চিম পৈলেনপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার কন্যা। এ দিকে গৃহপরিচারিকার লাশ পৌছিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে লন্ডন প্রবাসী।
জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের জাকিরপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সত্তারের মেয়ে লিপি বেগম (১৩) পার্শ্ববর্তী বড়হাজিপুর গ্রামের মৃত এলাইছ মিয়ার ছেলে নগরীর খুলিয়াপাড়ার নিলিমা ৩ নং লন্ডন প্রবাসী মুরাদ মিয়ার বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতো। গত ৮ মার্চ রবিবার কোন এক সময় লিপিকে হত্যা করে এবং রাত ১০টার সময় গৃহকর্তা মুরাদ মিয়ার মা ও বোন লাশবাহী গাড়ীতে করে নিহত লিপির লাশ নিয়ে বড়হাজিপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে লিপির পিতা-মাতাকে খবর পাঠান। এ সময় তারা বলেন, লিপি বাসার ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে, এখন লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি জানা জানি হলে জাকিরপুর ও বড়হাজিপুর গ্রামসহ আশ পাশের লোকজন মুরাদ মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এটি পরিকল্পিত হত্যা না ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা চলে। তখন ওসমানীনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ বড়হাজিপুর গ্রামে গিয়ে নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে রাত সাড়ে ১২টার লাশ নিয়ে আসেন এবং রাতেই ময়না তদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে লাশ সিলেট কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর থেকে প্রবাসী মুরাদ মিয়ার নগরীর খুলিয়াপাড়ার নিলিমা ৩ নং বাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত লিপির চাচাত ভাই আলী হোসেন জানান, আমার বোনকে হত্যা করে রাতে তারা লাশ দাফন করতে খবর দিয়েছে। আমরা তাদের বাড়িতে গেলে আমাদের লাশ দেখায়নি উল্টো আমাদের কাগজে দস্তখত করার জন্যে বলে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ওসি মোঃ মুরসালিন বলেন, ঘটনাটি সিলেট শহরে ঘটেছে। গৃহকর্তা কর্তৃক রাতে লাশ তারাহুড়া করে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হচ্ছে জেনে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করেছি।
কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, লাশের গায়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে বিষয়টি গৃহকর্তা চাপা দিতে চেয়েছিল। লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।