সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আলোচিত উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও তারই বাড়ির কাজের মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী তাসলিমা বেগমের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চেয়ারম্যানের নিজবাড়িতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রামের গন্যমান্য বক্তিদের উপস্থিতিতে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাজী সোহরাব হোসেন এই আলোচিত বিয়ে দেন। বিয়ের কাবিননামায় দেওয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ হাজার টাকা নগদ উসল দেওয়া হয়েছে। কিশোরী তাসলিমা বেগম (১৬) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়,কিশোরী তাসলিমা বেগম শিশু বয়স থেকে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের বাড়িতে কাজ করছে। সেই সুবাধে দুজনের মধ্যে সু-সর্ম্পক গড়ে উঠে। কিন্তু চেয়ারম্যান বিবাহিত,তার স্ত্রী ও বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে-ছেলে রয়েছে। তাদের অগোচরে কাজের মেয়ে কিশোরী তাসলিমার সাথে শারীরিক মেলা শুরু করেন ওই চেয়ারম্যান। এঘটনায় তাসলিমা ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে মাসখানেক আগে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সুকৌসলে তাকে পার্শ্ববর্তী মাহারাম গ্রামের কৃষক বিল্লাল মিয়ার ছেলে তারা মিয়ার কাছে সবকিছু গোপন রেখে বিয়ে দেন। পরবর্তীতে তারা মিয়া তার নববিবাহিত স্ত্রী তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করে পুরো ঘটনাটি জানতে পেরে তালক দেয়। এ ঘটনায় কিশোরী তাসলিমা যাবতীয় ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে তারা এনিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। পরে এই আলোচিত ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। এলাকাবাসীর গুঞ্জন ও বিতর্কের মুখে পড়ে কোন উপায় না পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন তার বাড়ির কাজের মেয়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা তাসলিমা বেগমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত মোবাইলে বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উত্তর বড়দল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য বক্তিদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান সেচ্ছায় তার বাড়ির কাজের মেয়ে তাসলিমাকে রেজিস্ট্রারি বিয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন।