চায়ের নিলামে গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন বায়ারদের, বিক্রি কম

4

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
চা পাতার গুণগত মান নিয়ে নিলামে প্রশ্ন তুলেছেন বায়াররা। দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলমান থাকায় চা উত্তোলন বন্ধ ছিল। ফলে চায়ের অকশনে চা পাতার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দশম বারের মতো দেশের দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্রে চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে চা নিলাম সম্পন্ন হয়। এতে নিলামে চায়ের বিক্রি কম হয়েছে বলে জানান চা ব্যবসায়ীরা।
নিলামে শ্রীমঙ্গলের ৪টি ব্রোকারস হাউজ ৩০ জন বায়ার অংশগ্রহণ করেন। নিলামে মোট ৮৫ হাজার ৭৪৭ কেজি চা পাতা উঠে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। কিন্তু নিলামের চা পাতা কোয়ালিটি ভালো না থাকায় বিক্রি হয় আনুমানিক ৪০ হাজার কেজি চা পাতা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
গত ২৪ আগস্ট নিলামে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৫০ দশমিক ৪০ কেজি চা পাতা নিলামে উঠে। এর আগে গত ১০ আগস্ট নিলামে উঠে ২ লাখ ৪ হাজার ৪৫০ কেজি পাতা। বিক্রি হয় ৮০ হাজার ২৫০ কেজি চা পাতা। যার বাজারমূল্য ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫শত টাকা। এদিকে দেশে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়, প্রায় ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি।
শাওন টি’র পরিচালক জামাল আহমদ বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আন্দোলনের কারণে বেশ কিছু চা উত্তোলণ বন্ধ থাকায় চায়ের কুঁড়ি লম্বা এবং খুবই শক্ত হয়ে যায়। যার ফলে এই চায়ের পাতায় তেমন ভাল মানের চা হবে। গুণগতমান থাকবে না।’
টি ট্রেডার্স এন্ড প্লান্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মুনির বলেন, ভারত থেকে বৈধ ও অবৈধ পথে নিম্ন মানের চা দেশে আসায় চায়ের গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে এবং দেশীয় চা শিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। শ্রমিক আন্দোলনের কারণেও পাতা বেড়ে চায়ের মান নষ্ট হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে সময় লাগবে। চা শ্রমিকদের মজুরী বাড়ায় এখন চায়ের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। কারণ এখন চা উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে।