হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের ভাটি এলাকা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় তিন উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সভায় শাল্লা উপজেলার সরকারি কোন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকারে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম ইউপি মিলনায়তনে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বানিয়াচং উত্তর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতর আলী, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর বখত চৌধুরী, শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, বানিয়াচং উত্তর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, দক্ষিণ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মাছশিকারীরা পলো দিয়ে শাল্লা উপজেলার ঘটিয়া বিল, ভেড়ামোহনা, আন্দারাই, মিকদাড়াই, গুছির ডহর, দিরাই’র চন্ডিরদোহা, কালিয়াজুড়ির গোলদাইর আজমিরীগঞ্জের নলাই ও কুশিয়ারায় অবাধে মাছ শিকার করছেন। এতে ওই এলাকার ফিশারী মালিকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার আবারো বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের লোকজন মাছ শিকারের পরিকল্পনা করেন। এ খবরে ফিশারী মালিকরা তাদের বাধা দিতে লোকজন জড়ো করতে থাকেন। খবর পেয়ে সংঘর্ষ এড়াতে তিন উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি তৈমুর বখত চৌধুরী জানান, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার লোকদের জলমহালে মাছ শিকার করতে বারণ করা হয়েছে।