কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যাসহ নাশকতা দমনে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর যৌথ অভিযান আরও জোরদারসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের আরও কিছু নেতাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, নাশকতায় জড়িতদের তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে কারা সরাসরি নাশকতা করছে, কারা অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে, কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত কারা নাশকতাকারিদের নির্দেশ দিচ্ছে ও কারা পরিকল্পনা করছে তাদের সবার নাম। গ্রেফতারসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের আরও কিছু নেতা দ্রুতই গ্রেফতার হতে পারেন। কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত এই গ্রেফতার অভিযান চলানো হতে পরে।
এরই মধ্যে দফায় দফায় হরতালসহ টানা অবরোধের ৩৮ দিন পার হয়েছে। এই অবরোধ-হরতালের নাশকতায় ৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন কয়েক শ’ মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। খুনি, হত্যাকারী ও নাশকতাকারীদের সঙ্গে সংলাপ নয় বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনিকভাবে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ অব্যাহত ও আরও কঠোর করার মাধ্যমে নাশকতা দমন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
আবারও বিএনপির হরতাল এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে জনগণ আছে। ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। জেলা পর্যায়েও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিছু জায়গায় তারা নাশকতা চালাচ্ছিল সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
নাশকতা দমনে যা যা দরকার সরকার করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সরকার ইতস্তত করবে না, কোনো শৈথিল্যও দেখাবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, হরতাল তো আছেই। কিন্তু মানুষ তাদের অবরোধ-হরতাল মানছে না। তারা নাশকতা চালাচ্ছে। সরকার নাশকতা দমনের পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্বাভাবিক হয়ে যাবে।