হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে ৭টি গাড়ী ভাংচুর, ৪ জন আটক

57

s---07-02-15---------3স্টাফ রিপোর্টার :
২০ দলের টানা ৭২ ঘন্টার হরতালের পূর্বদিন গতকাল শনিবার সিলেটে ছাত্রদল কর্মীসহ ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। হরতালের সমর্থনে নগরীর আম্বরখানায় একটি মিছিল থেকে ৭টি গাড়ি ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে আম্বরখানা সিরাজী হোটেলের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে শিবির নেতা-কর্মীরা। মিছিলের এক পর্যায়ে ট্রাক, প্রাইভেট কার, ইজিবাইক (টমটম)সহ অন্তত ৭টি যানবাহন ভাংচুর করা হয়। এ সময় রাস্তার উভয় পাশের কয়েকটি দোকান লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা। খবর পেয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে, এর আগেই মিছিলকারীরা বড় বাজারের দিকে পালিয়ে যায়।
এদিকে, নগরীর সোবহানীঘাটে মিছিলের প্রস্তুতিকালে শিবির নেতা কর্মীদের ধাওয়া করে পুলিশ। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়। গতকাল দুপুরে সোবহানীঘাট ট্রেড সেন্টারের (কাঁচাবাজার) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হরতালের সমর্থনে বেলা পৌণে ২টার দিকে সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারের সামনে থেকে ২৫/৩০ জন নেতা কর্মী  মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে সোবহানীঘাট ও বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশের দুটি দল কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে শিবির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শিবির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শিবির কর্মী সন্দেহে রাসেল ও রবি নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় একই সময়ে নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জুনেদ আহমদকে আটক করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। জুনেদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন।POIU
অপরদিকে, নগরীর বনকলাপাড়া থেকে বিএনপি নেতা কালা শফিককে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার এসআই শফিকুর রহমান। তিনি জানান, কালা শফিক নগরীর বিভিন্ন স্থানে নাশকতা কর্মকান্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানায় বিস্ফোরক ও গাড়ি ভাংচুরের মোট ৪টি মামলা রয়েছে।