সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সম্মেলন স্থগিত ঘোষিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে গঠিত মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী কমিটির সম্মেলনের তারিখ ৭ ফেব্র“য়ারী নির্ধারণ করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে উদ্বোধক ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে অতিথি করে জেলা ও উপজেলা সদরে প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু মোট ১৬টি সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে কেবলমাত্র ৭ টি ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করে পকেট কাউন্সিলারদের দ্বারা অসদ্দেশ্যে তড়িগড়ি করে সম্মেলন করা হচ্ছে জেলার মন্ত্রী এমপি ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি ৭ ফেব্র“য়ারীর সম্মেলন বর্জন করেন। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপিকে অনুসরণ করে জেলার সকল এমপি, শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং জেলা সভাপতি, সেক্রেটারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের প্রার্থীরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করে সম্মেলনের তারিখ পেছানোর জন্য দফায় দফায় দলীয় সভানেত্রীসহ জাতীয় নেতাদেরকে অনুরোধ করেন। অভিযোগ ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা এই মুহূর্তে জেলা সম্মেলনের ব্যাপারে মারাত্মক বিব্রতবোধ করেন। এছাড়াও দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগণতান্ত্রিক ও প্রহসনমূলক পদ্ধতিতে সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে বিরত থাকার জন্য দায়িত্বশীল নেতাদেরকে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শারীরিক অসুস্থতার কারণে সম্মেলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই সম্মেলন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর অসুস্থতার কথা জানতে পেরেছি। তবে সম্মেলন স্থগিত করার ব্যাপারে কোন আনুষ্ঠানিক পত্র পাইনি। এদিকে জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সম্মেলন এর তারিখ ঘোষণার পূর্বে বর্তমান জেলা কমিটি বাতিল করে আহবায়ক অথবা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন।
