কাজিরবাজার ডেস্ক :
চিহ্নিত কিছু মোবাইল কনভারসেশন ট্র্যাক করা হচ্ছিলো কিছু দিন ধরেই। এই ট্র্যাকিং টার্গেটের শিরোভাগে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া। আরো ছিলেন তার দলের কিছু সক্রিয় নেতা।
টানা কিছু দিনের ট্র্যাকিং আর ভয়েস রেকর্ডিংয়ে ব্যাপক নাশকতার তথ্য জমে সরকারের হাতে।
রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়, অধিকাংশ কলই এসেছে লন্ডন থেকে। আর যাদের কাছে এসেছে তাদের অধিকাংশই গুলশান বা নয়াপল্টনের আশপাশ থেকে কলগুলো রিসিভ করেছেন।
এসব কলে দেশজুড়ে নানারকম নাশকতার নির্দেশনা আসছে নিশ্চিত হওয়ার পর মাঠে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বেশ ক’টি অভিযানে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির বেশ ক’জন সিনিয়র নেতাকে। বিঘ্ন ঘটানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মোবাইল নেটওয়ার্কে।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও মোবাইলে নাশকতার নেটওয়ার্ক বিস্তারের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র আরো জানায়, ইউটিউবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া কর্মীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কথোপকথনের অডিও নিয়েও মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এসব অডিওতে খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন নির্দেশ দিতে শোনা যায়। সেসব নিয়ে আলোচনা করে তার ফোন ও ইন্টারনেটে বিঘ্ন ঘটানো যৌক্তিক ও জনকল্যাণমূলক বলেও মন্তব্য করা হয় বৈঠকে।