ইসকন সিলেট মন্দিরে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠা হলো শ্রীশ্রী রাধা-মাধবের বিগ্রহ।
বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা উৎসবে শুক্রবার তৃতীয় দিন শুক্রবার বলরাম জয়ন্তী তিথিতে বিগ্রহের মহাঅভিষেক সম্পন্ন হয়।
শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজের তত্ত্বাবধানে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা উৎসবে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ ভক্ত অনুরাগীদের উদ্দেশে প্রবচন প্রদান করেন। লাখো ভক্ত ও অনুরাগী তার বানী শুনে প্রিত হন।
এদিকে প্রদিনিই মন্দিরে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে শুক্রবার লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে। তাদের উপস্থিতিতে মন্দির এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।
বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত চলে ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান।
এরমধ্যে ছিল- মহাপ্রভুর পাদপদ্ম মহা-অভিষেকোত্তর পাদপীঠ স্থাপন, বিশেষ পূজা, আশীর্বাদ বাণী, বৈষ্ণব সেবা, সজ্জন সমাবেশ, টেম্পল প্রজেক্ট ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, মন্দির নির্মাণের মহিমা, দীক্ষানুষ্ঠান, ভাগবতীয় প্রবচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শনিবারের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবতীয় প্রবচন, দীক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রবচন, দীক্ষানুষ্ঠান ও শ্রীমদ্ভাগবতীয় প্রবচন। উৎসবের অনুষ্ঠানের পূজার্চনা ও যাজ্ঞিক অনুষ্ঠান সম্পাদনে অংশ নিয়েছেন দক্ষিণ ভারত থেকে ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবরা। দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিষ্ণু যজ্ঞ, দাতা সম্মেলন, অধিবাস, ভজন কীর্তন, বৈদিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীধাম মায়াপুর থেকে আসা শ্রীমৎ ভক্তিপুরুষোত্তম স্বামী মহারাজ, বাংলাদেশের সন্ন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তিপ্রিয়ম গদাধর গোস্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তিবিনয় স্বামী মহারাজ, শ্রীধাম মায়াপুর থেকে আগত শ্রীমৎ ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজ, ইসকন বাংলাদেশ জিবিসি প্রতিনিধি শ্রীপাদ নাড়ুগোপাল প্রভু, ইসকন বাংলাদেশ সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
এছাড়া বাংলাদেশ ইসকনের জাতীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ ও ভক্তবৃন্দ মন্দিরে এসেছেন। বিজ্ঞপ্তি