শাহ আলম শামীম, কুলাউড়া থেকে :
রাজনগরে কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার অপরাধে মায়ের উপর নির্যাতনের সময় নিহত কন্যা শিশুর লাশ মৃত্যুর ১৭ দিন পর গতকাল ২০ জানয়ারী মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হক, এসআই আবুল হোসেন ও এসআই আব্দুর রহমান তরফদারের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কাছারী আরশাদ মিয়ার (৪০) স্ত্রী পিয়ারুন বেগম গত ২৮ নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার অপরাধে পিয়ারুন বেগমের উপর শুরু হয় স্বামী আরশাদ মিয়ার নির্যাতন। গত ০৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে পিয়ারুন বেগমের উপর স্বামী আরশাদ মিয়ার নির্যাতনকালে ৩৫দিন বয়সী শিশুটির মাথায় আঘাত লাগলে সে রক্তাক্ত জখম হয়। আরশাদ আলী ও তার আত্মীয়-স্বজন তাকে (শিশুটিকে) হাসপাতালে নিয়া যান। দুপুরে তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। ওই দিনই বিকালে শিশুটির লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পিয়ারুন বেগম বাদী হয়ে রাজনগর থানায় স্বামী আরশাদ মিয়া ও তার ভাই ভাইয়ের স্ত্রীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে নিহতের ১৭ দিন পর গতকাল শিশুটির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, পিয়ারুন বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করে মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহমান জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে মাথার বামপাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।