৪টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন ॥ সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কার করার দাবি

29

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কার ও মহাসড়কে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে কোম্পানীগঞ্জের ৪টি ব্যবসায়ী সংগঠন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি, কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, কোম্পানীগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা ট্রাক-শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক একটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পাথর বহনকারী ট্রাক চলাচল করে অবকাঠামো নির্মাণ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে। প্রতিদিন ভারত থেকে শতশত মেট্রিক টন চুনাপাথর আমদানীসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সড়ক দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারণ প্রতিদিন চলাচল করেন। ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ সড়ক দিয়েই সিলেট শহরে আসেন। অথচ অর্থনীতির গতি সংস্কারকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বর্তমান অবস্থা এতই নাজুক যে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো পাথরবহনকারী ট্রাক ও যাত্রীবাহি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিনিয়তই যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য চরম হুমকির সম্মুখিন। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমতাবস্থায় স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জনসাধরণ এ সড়ক নিয়ে এতটাই ক্ষুব্ধ যে, যেকোনো সময় এ ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটতে পারে। দাবি আদায়ে জনসাধারণ রাস্তায় নেমে আসলে প্রশাসন তখন অসহায় হয়ে পড়বে। তাই আর কালক্ষেপণ না করে সরকার ও সংশি¬ষ্ট বিভাগ দ্রুত এ সড়কটিকে মহাসড়কে রূপান্তরিত করে পুননির্মাণ করার দাবি এ অঞ্চলের মানুষের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ১৪ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরেজমিন সড়কটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানান। ডিসেম্বর পর্যন্ত মেরামত ও সংস্কার কাজ করে যান চলাচলের উপযোগী রাখার নির্দেশও দেন সংশ্লি¬ষ্টদের।
এ বিষয়ে গত বছরের ১৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ট্রাক মালিক সমিতি, স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি ও পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ও ট্রাক শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মেরামত ও সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে মতে, ওই ৪ সংগঠনের উদ্যোগে সড়কে সংস্কার কাজ চালানো হয়। কিন্তু ২০১৪ সাল পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি রাস্তাটি নির্মাণে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি ৪৪৭ কোটি টাকা প্রাক্কালন ব্যয় ধরে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। প্রকল্পটি ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের এডিপিভুক্ত নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের অগ্রাধিকার তালিকার ১৭ নং ক্রমিকে আছে। পিইসি/অভ্যন্তরীণ কমিটির সভায় অনুমোদিত হলে একনেক সভায় অনুমোদন হওয়ার পর এ রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে। তাই দেশের সর্বোচ্চ জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মহাসড়কে উন্নীত করে পুননির্মাণের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।