হবিগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে আহত ৮০

46

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাং বাজারের একটি মাকের্টের জায়গা দখলকে কেন্দ্র দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা, শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুতাং এলাকার ইমাম উদ্দিনের পুত্র বাবলু মিয়া ও একই এলাকার আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার মধ্যে বাজারের একটি নির্মাণ মার্কেটের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকা কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় মার্কেটটির নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলায় মোকাদ্দমা সম্প্রতি মার্কেটটি অগ্নিকান্ডে পুড়ে চাই হয়ে যায়। এই ঘটনার পর ৮ জানুয়ারী আব্দুল কুদ্দুছ এর লোকজন জায়গা দখল করতে যায়। এ সময় বিরোধ হলে তারা আদালতের শরণাপন্ন স্মরনাপন্ন হলে কোর্ট থেকে সেখানে ১৪৫ জারি করা হয়।
বাবলু মিয়ার লোকজন কোর্টের আদেশ অমান্য করে শনিবার সকালে জায়গাটি দখল করতে গেলে কুদ্দুছ মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে উল্লেখিত লোকজন আহত হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি ইয়াছিন আহমেদ জানান, এটি সাধারণ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার যাদবপুর ও লাখাই উপজেলার গোয়াখারা গ্রামে সেচ প্রকল্প নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে যাদবপুরে জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল মিয়াকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহত শাহ আলম (২৮), বিল্লাল (৩৪), করিম (২৮), ছুরুক চাঁন (৫০), কাশেম (৪০), শহীদ (৫০), সুফিয়া বেগম (৬০), ইদু মিয়া (৩৫), সাইকুল (২০), সোহাই মিয়া (৬০), মিজান মিয়া (৩০), সামছুল (৩৩), আব্দুল আলী (৪৫), সুমন (১৮), আব্দুল হক (৪০), সমসু মিয়া (৪৫), নূর আলী (৬৫), আজমান (২৫), সিরাজুল (২৪), আমির হোসেন (২৫) শামীম (২৮) সহ প্রায় ৪০ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, লাখাই উপজেলার গোয়াখারা গ্রামের আব্দুল হকের সাথে সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের আবু মিয়ার ছেলে সমসু মিয়ার জমিতে সেচ দেয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে আবারও দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয় চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।