ওকাজিরবাজার ডেস্ক :
রুবেলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নারী নির্যাতনের মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে গতকাল জামিন আবেদন করেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। তিনি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন হ্যাপী। এসময় তাকে উল্লসিত দেখা যায়। দীর্ঘ এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানি চলাকালীন হ্যাপীর আইনজীবী বলেন, রুবেলকে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে দিলে, তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার জামিন না মঞ্জুর করা হোক।
এদিকে রুবেলের আইনজীবীরা হ্যাপীর আইনজীবীর এই দাবির বিরোধিতা করে বলেন, রুবেল জাতীয় দলের একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। দেশের সম্পদ। তাকে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন। তাই তাকে দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হোক।
দুই পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ এই বিতর্ক শেষে আদালত রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে রুবেলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। সেখানে তারা ‘ন্যায় বিচার’ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় দলের এই পেসার উচ্চ আদালত থেকে একই মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের দল ও জাতীয় দল থেকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে বাদ দেওয়ার আরজি জানিয়ে অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
শুনানি শেষে ৬ জানুয়ারি বিকেলে রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শুনানিকালে হ্যাপির পক্ষে রিট দায়েরকারী মো. ইউনূস আলী আকন্দ উপস্থিত না থাকায় রিটটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
ক্রিকেটার রুবেল হোসেন ও তার আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ক্রিকেটে বিশ্বকাপের দল ও জাতীয় দল থেকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে বাদ দেওয়ার আরজি জানিয়ে সোমবার (৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন হ্যাপি। তার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন তার আইনজীবী মো. ইউনূস আলী আকন্দ।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন হ্যাপি। এ মামলায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন ক্রিকেটার মো. রুবেল হোসেন।
পরে বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।