দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা আলী হোসেনের বাড়িতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ গভীর রাতে অভিযান চালায় এবং বিএনপির ডাকা অবরোধের ২য় দিনে পিকেটিং থেকে ১ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মোঃ ফারুক আহমদের গ্র“পের নেতা কর্মীরা উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের পঞ্চগ্রাম রাস্তার সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে পিকেটিং করলে সকাল সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ গণ উপদ্রব্য পুনরায় অনুষ্ঠানের দায়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদাল মেম্বারকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে কেন্দ্রের ডাকা অবরোধের ২য় দিনে অবরোধ সফলের লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ছয়হাড়াস্থ জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের পঞ্চগ্রাম রাস্তার সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে, জয়কলস ইউনিয়নের সদরপুর নামক স্থানে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ও পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া বাজারস্থ দিরাই-মদনপুর সড়কে পিকেটিং করেন।
বিএনপির অবরোধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে তেমন কোন প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি, সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকতে দেখা যায়। উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা আলী হোসেনের বাড়িতে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। কিন্তু থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপরদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করার লক্ষে উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবরোধ সফল করার লক্ষ্যে পিকেটিং করছিলেন। কিন্তু শান্তি পূর্ণ এমন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদাল মেম্বারকে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা জানান।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, পুলিশ এসল্ট মামলার আসামী থাকায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ ফারুক আহমদ, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা আলী হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের বাড়িতে তাদেরকে গ্রেফতার জন্য অভিযান চালানো হয়। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা আবদাল মেম্বারকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট শেখ হাফিজুর রহমান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ জনের সাজা প্রদানের সত্যতা স্বীকার করেন।