সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দিরাইউপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের আমির পুর সংলগ্ন বরাম হাওরের বোয়লিয়া খালের দিরাইÑআকিলশাহ রাস্তায় স্থানীয় সাংসদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত স্থায়ী বেড়ী বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন গত সেপ্টেম্বরে। কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষ সে স্থানে বাঁধ না দিয়ে পুরাতন বাঁধের উপর বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাউবোর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বরাম হাওর পারের তাড়ল ইউনিয়নের অন্তত ২০-২২ গ্রামের কযেকশ কৃষক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রায় দুই ঘন্টার মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকিকুর রেজা ওরফে পুলিশ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার, শিক্ষক দীন ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য সামছুল হক, বদরুল আমিন, কৃষক আব্দুল হক, মস্তফা মিয়া, রাসেদ মিয়াসহ অর্ধশত কৃষক ও বিভিন্ন শেণী পেশার মানুষ। বক্তারা বলেন, দিরাইÑআকিলশাহ রাস্তার মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ আমাদের এলাকার মানুষের দাবি, স্থানীয় সাংসদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও এই জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। এখানে স্থায়ী বাঁধ না থাকায় বরাম হাওর পারের দিরাই-শাল¬া ও নেত্রকোণাসহ ওই তিন উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমি হুমকির মুখে। এ কাজের জন্য সরকার এক কোটি আট লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে সে টাকা ফেরত যায়। এখন আমরা শুনতে পাচ্ছি পানি উন্নয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত স্থানে বাঁধ না দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য স্থান পরিবর্তন করে পুরাতন বেড়ী বাঁধে বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তাদের লাভ হলেও কৃষকদের সর্বনাশ হবে। যদি কৃষকদের দাবিকৃত জায়গায় বাঁধ দেওয়া না হলে আমার কঠোর আন্দোলনে যাব।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন স্মারকলিপি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো। সরজমিনে গিয়ে এ কৃষক ও পাউবো কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব।