কাজিরবাজার ডেস্ক :
ছাত্রলীগকে তাদের নিজেদের কু-কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রদল পূবের্র অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান।
গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ও ছাত্রলীগের আচরণের নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে এবং একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের জনসভা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্রলীগ ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের অত্যাচারে ক্যাম্পাসগুলোতে সুশিক্ষা, সহ-অবস্থান এখন দূর অতীত। চাঁদাবাজি, খুন, হত্যা আর টেন্ডারবাজি তাদের নিত্যদিনের কর্ম। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এমন কোন অপরাধ নেই, যার সাথে তারা জড়িত নয়। সেই সন্ত্রাসী সংগঠনখ্যাত ছাত্রলীগের আস্ফালন দেখে আমরা আশ্চর্য না হয়ে পারি না। আমরা ধিক্কার জানাই তাদের এমন আস্ফালনকে এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যকে।
তারা বলেন; ছাত্রদল দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিতে চায়, তারেক জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশ নিয়ে ছাত্রলীগ যে মন্তব্য করেছে তা ছাত্রদলের সৈনিকেরা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তারেক রহমান এ দেশের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সুকুমার বৃত্তি বিকাশের লক্ষ্যে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, অবিতর্কিত জাতীয়তাবাদী নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদ জিয়ার উত্তরসূরী হিসেবে তারই লালিত আদর্শ ও লক্ষ্যকেই অগ্রসর করে নেয়ার কাজে অংশগ্রহণ করছেন। তারেক রহমান রাজনৈতিক দীক্ষা নিয়েছেন তারই প্রথতিযশা মা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে, যিনি ৩ দশকের বেশি সময় ধরে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নিবার্চিত হয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তারেক রহমান যা বলেন জেনে বুঝেই বলেন। তার বক্তব্য প্রত্যাহারহারের প্রশ্নই ওঠেনা। বরং তিনি ভবিষ্যতে আরো তথ্য ভিত্তিক বক্তব্য জাতির সামনে নিয়ে আসবেন।