সুরমা নদীতে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান রেস্তোরাঁ

42

vasoman rstrntস্টাফ রিপোর্টার :
পশ্চিম দিগন্তে অস্তগামী সূর্যের আলো সুরমার জলে ঢেউ খেলে। ব্যস্ত যান্ত্রিক নগর জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষেরা সিলেটের সুরমা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে অবলোকন করেন খেয়াপারাপারের দৃশ্য। উপরে ঐতিহ্যবাহি কীনব্রীজ, নীচে সুরমার তীর লাগোয়া আলী আমজাদের ঘড়ি। পাশেই চাঁদনীঘাটে নোঙর করেছে ভাসমান রেস্তোরাঁ “সুরমা রিভার ক্রুজ”।
ক্লান্তি ঘোচাতে প্রতিদিন সিলেট নগরীর সার্কিট হাউসের সামনে সুরমার তীরে ঘুরতে আসেন শত শত দর্শনার্থী। সমস্যা হচ্ছে, এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য আশপাশ এলাকায় ভালো কোনো রেস্টুরেন্ট নেই। সিলেটের স্বপ্নবাজ কজন প্রবাসী উদ্যোক্তা মিলে সুরমার জলে ভাসমান একটি রেস্টুরেন্ট বসানোর স্বপ্ন দেখেন। তারা সবাই মিলে এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। এখানে আরো প্রবাসী উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত আছেন। মূলত, বিদেশে অনেক নদীতে এ রকম ভাসমান রেস্টুরেন্ট দেখে, সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই সেবামূলক দৃষ্টি নন্দন রেস্তোরাঁ বসানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত।
ঘুরতে আসা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা শারমিন বলেন, এটা একটা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া। যারা এটা করেছেন, তারা অবশ্যই সিলেটের দর্শনার্থীদেও সেবার কথা চিন্তা করেই করেছেন। আশা করি, আমরা এখানে ভালো পরিবেশে বিনোদনের সাথে খাবার খেতে পারবো।
সুরমা রিভার ক্রুজ রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু বলেন, এখানে অনেক প্রবাসী উদ্যোক্তার স্বপ্ন আছে। সবাই মিলে পর্যটক ও সুরমার তীরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য এই রেস্টেুরেন্ট। সুরমা নদীর পরিবেশ সুন্দর করার জন্যও আমরা কাজ করে যাবো।