কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা অনুমানিক ৬টার দিকে কানাইঘাট বাজারে ডালাইচর ও বিষ্ণুপুর (করচটি) গ্রামের লোকজনদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ ৭জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দু’গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, কয়েকদিন পূর্বে ডালাইচর গ্রামে লুদা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (১৮) এর সাথে কানাইঘাট উত্তর বাজারে সোনালী ষ্টোরের মালিক নছির উদ্দিনের ভাই বিষ্ণুপুর গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র বশির উদ্দিনের সাথে সোনালী ষ্টোরে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় গ্রামের মুরব্বিয়ানরা বসে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য ১০ হাজার টাকা আমানত ধার্য্য করেন। গতকাল সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে জসীম উদ্দিনের পিতা লুদা মিয়া (৫০) উত্তর বাজারের বিলাল ভেরাইটিজ ষ্টোরের পাশে অবস্থান করার সময় বশির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিষ্ণুপুর করচটি গ্রামের কয়েকজন যুবক তার উপর হামলা করে রক্তাক্ত আহত করে। এ ঘটনার খবর ডালাইচর গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা লাঠি সোটা নিয়ে সোনালী ষ্টোরে হামলার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও প্রচুর কাচের বোতল ছুড়া-ছুড়ির মাধ্যমে বাজারে আতংক সৃষ্টি করা হয়। এরপর ডালাইচর গ্রামের লোকজন বাজারে মিছিল বের করে আবারো সোনালী ষ্টোরে হামলা করে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার এস.আই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলায় ইট-পাটকেলের আঘাতে যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন ডালাইচর গ্রামের নিজাম উদ্দিন, রুহুল আমিন, তারেক, জাহেদ, বদরুল, ইয়াহিয়া ও বিষ্ণুপুর গ্রামের কবির উদ্দিন। এদের মধ্যে লুদা মিয়া, নিজাম উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।