জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার পথ অনুসরণ করে আমাদের নারী সমাজকে এগিয়ে যেতে হবে। নারী সমাজ এখন আর অবলা বা অবহেলিত নয়। তারা এখন যথেষ্ট স্বাবলম্বী। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নতিতে নারীরা সচেষ্ট। নারী সমাজের উন্নয়নে বেগম রোকেয়ার অবদান অপরিসীম।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সিলেট আয়োজিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বাংলাদেশ তথা সিলেটের নারী সমাজকে সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এখন আর পিছিয়ে নেই। আপনাদের সাহস, শক্তি ও বুদ্ধি-মত্তা দিয়ে সমাজকে আরো বেশি করে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি নারী সমাজের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সিলেট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ জেড এম নুরুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক ও সমাজসেবা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম।
সহকারী কমিশনার ইশরাত জাহানের উপস্থাপনায় শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা মোঃ শাহ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজিয়া বেগম। বক্তব্য রাখেন মহিলা নেত্রী আলহাজ্ব সালমা বাছিত, জয়িতা মাধুরী গুণ, জয়িতা ঝর্ণা রানী দে, জয়িতা হোসনে আরা বেগম, জয়িতা জাহানারা বেগম প্রমুখ।
‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ এবার জেলা পর্যায়ে যারা নির্বাচিত হলেন তারা হচ্ছেন অর্থনীতি সাফল্যে মোছাঃ হেলেনা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরী ঝর্ণা রাণী দে, সফল জননী হোসনে আরা বেগম, নির্যাতন প্রতিরোধে জাহানারা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে মাধুরী গুণ। তাদের প্রত্যেককে ক্রেস্ট, সম্মানী ও সনদপত্র প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি