সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে কোন বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল এই মল্লিকপুর গ্রামের শিশুরা ও পার্শ্ববর্তী ৫টি গ্রামের স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমান সময়ে সবাই যখন বিশেষকরে তরুণ সমাজ সামাজিক উন্নয়নে নিজেদের অনেকটা গুটিয়ে নিচ্ছেন তখন তরুণ সমাজ কর্মী এ,এইচ এম হুমায়ুন মল্লিক নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন মল্লিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি ঢাকায় একটি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত। বিদ্যালয়ের জমি দিয়েছেন তার বাবা আহমেদ মল্লিক। ৩০ শতক জমি নিয়ে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমানে তিন জন শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা দানের মধ্য দিয়ে ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে। গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ১১টায় এই বিদ্যালটি উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জুনাব আলী, বাদাঘাট (উঃ) ইউপি চেয়ারম্যান রাখাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুর দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ মশিউর রহমান,ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও ধামালিয়া পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, বাদাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম ধানু, জয়নাল আবেদিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, মন্টু প্রধান শিক্ষক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছারাও গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী। সবাই স্কুলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও স্কুলটির শিক্ষার বিস্তার করার স্বার্থে যার যার সাধ্য মত আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। স্কুল টির উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা তরুণ সমাজ কর্মী হুমায়ুন মল্লিক জানান-স্কুলটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য সমাজের বিত্তবান, শিক্ষা অনুরাগী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করি। স্কুলটির ভূমি দাতা আহমেদ মল্লিক বলেন-একটি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি গতভাবে চালিয়ে যাওয়া খুবেই কঠিন। সবার সহযোগিতা পেলে এই বিদ্যালয়টি শিক্ষার বিস্তারে সফলতা অর্জন করতে পারবে আমি আশা করি। বিজ্ঞপ্তি