সিলেট জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৮১০ জন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৩ মাসে ১০২৫ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৫.৬ শতাংশ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সিলেট জেলার কোয়াটারলী মনিটরিং সভায় এতথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সিলেট জেলার কোয়াটারলী মনিটরিং সভা অনুষ্টিত হয়। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: মো: আজহারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা এর পরিচালক (প্রশাসন) ডা: মো: ইহতেশামুল হক চৌধুরী। সিভিল সার্জন অফিসার ডা: সিরাজুল মুনির (রাহেল) এর পরিচালক বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন টিবিও লেপস্রী এর লাইন ডাইরেক্টর ডা: মো: কামরুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেট এর পরিচালক স্বাস্থ্য ডা: মামুন পারভেজ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানা স্বাস্থ্য ও.প.গ ডা: সহিদ আনোয়ার ডা: হিমাংশু রায় ডা: শাহ রাছায়, ডা: এস এম ফরিদুল ইসলাম লতি কা, ডা: শেখ ইমদাদুল্লাহ নয়ন, ডা: মো হাবিবুর রহমান, ডা: পশ মোহন সিনহা, ডা: রবীন্ত্র দেব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা পরিচালক প্রশাসন ডা: মো: ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে মডেল খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে বেসরকারী কর্মকর্তাদের সচেষ্ট হতে হবে। তিনি অচিরেই এম টি ল্যাব এবং টি এলসি এ স্বল্পকা বোধে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সাথে সাথে তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩য় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের লোক নিয়োগের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস প্রদান করে। তিনি আরো বলেন নগরায়নের ফলে প্রচুর ভাসমান লোক নগরীতে আসে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এদিকে নজর দেওয়ার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য টি বি এন্ড লেপস্রী লাইন ডাইরেক্টর ডা: মো কামরুল ইসলাম বলেন। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের কর্মকান্ড স্বাস্থ্য খাতের নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে সম্মানিত করছে। তিনি মাল্টি ড্রাগ বেসিসইেন্স (এম ডি অব ) যক্ষ্মা রোগীদের জন্য আগামী জুন মাসের মধ্যে সিলেট বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালে পূনাঙ্গ রিজিওনাল রেফারেন্স ল্যবরেটারী স্থাপিত হবে। যার মাধ্যমে এম. ডি আর যক্ষা রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সেমিনারে আরো জানানো হয়। গত জুলাই থেকে সেপ্টম্বর ৩ মাসে সব ধরনের যক্ষ্মা রোগীর নোটিকেশনে দেখা যায়। জনসংখ্যা প্রতি লাখ এ ১৪৩ জন যক্ষা রোগী। কিন্তু ট্রিটমেন্ট সাফল্য শতকরা ৯৪ভাগ। বিজ্ঞপ্তি