ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতক পৌর শহরের দক্ষিণ মন্ডলীভোগ এলাকায় দীর্ঘ চার মাস ধরে একটি নবনির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পার্শ্ববর্তী আরেকটি ভবনের উপর হেলে পড়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পাশের ভবনে আটকে আছে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও আজোবধি পর্যন্ত কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে যেকোনো সময় প্রাণহানীসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের গড়িমসির কারণে দীর্ঘ চার মাস ধরে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন পাশের ভবনে বসবাসরত আরেকটি পরিবার। ইতোমধ্যে নবনির্মিত ভবনটি প্রায় দু’ফুট হেলে পড়ায় পশ্চিম পাশের ভবনের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
জানা যায়, আবদুল মমিনের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি হেলে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পার্শ্ববর্তী তারিকুজ্জামানের বাসভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। হেলে পড়া ভবনের পানি পড়ছে পাশের ভবনের ছাদে ও বারান্দায়।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক তারিকুজ্জামান ছাতক পৌরসভার মেয়র বরাবরে গেল ৬ মে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ দায়েরের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও আজোবধি পর্যন্ত আবদুল মমিনের হেলে পড়া ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। হেলে পড়া ভবন অপসারণে ধীরগতির কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক তারেকুজ্জামান ও তার পরিবার।
জানা গেছে, নবনির্মিত হেলে পড়া ভবনটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভার অনুমোদন, নকশা, বিল্ডিং কোড ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করেন আবদুল মমিন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক তারেকুজ্জামান বলেন, আবদুল মমিনের হেলে পড়া ভবনের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। যার ফলে আমাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলি এবং কাউন্সিলররা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করে গেছেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে এর একটা সমাধান দেওয়া হবে।