সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, বিচার কাজে নিয়োজিত সকলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করলে মামলার জট কমবে। বাদি এবং আসামী উভয়ই চায় ন্যায় বিচার। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্ত কাজে নিয়োজিতরা সঠিকভাবে তদন্ত করলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষী দিলে, সঠিক সময়ে মেডিকেল রিপোর্ট আসলে কম সময়ের মধ্যে একটি মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব। গতকাল শনিবার সকালে জজ কোর্টের কনফারেন্স হলে সিলেট জজ কোর্টের বিচার বিভাগীয় সম্মেলন ২০১৪ এর সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেটের যুগ্ম-জেলা দায়রা জজ মো. রকিবুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক আব্দুল আজিজ মন্ডল, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলিপ কুমার, জন নিরাপত্তা আদালতের বিচারক মইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মঈন উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ ২য় আদালত মাসুদ করিম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা কাদের, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাদের, বিচারক দিলওয়ার হোসেন শামীম, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি মো. শামছুল ইসলাম, দুদক সিলেটের পরিচালক মো. আবুল হাসান, অধ্যাপক ডা. আবুল মনসুর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আফম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, র্যাব ৯ সিলেটের এএসপি জালাল উদ্দিন, বিজিবির নাসিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করে কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট দেয় না। পরিবেশ, মাদক ও বন বিভাগসহ যারা মামলা করেন মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের উচিৎ মামলার সঠিক খোঁজ খবর রাখা। না হলে মামলা জটবারে মামলার ক্ষতি হয়।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে বিচারক ও দেওয়ানি মামলার সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে মামলা জট কমানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়।