জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন চর থেকে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করছে কয়েকজন প্রভাবশালী চক্র। উপজেলার আটগ্রামের সুরমা নদী, ইছাপুর, সহিদাবাদ, সুলতানপুরে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি চক্র। সীমান্ত নদী সুরমা ও কুশিয়ারায় গভীর খনন করে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন।
উপজেলার ইছাপুরের কুশিয়ারা নদীরচর থেকে গত শুক্রবার ইছাপুর গ্রামের বলু মিয়ার পুত্র আবুল কালাম (৩৫), আব্দুর রশিদ (২৫) কে বালু উত্তোলন করার সময় মানিকপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা বাধা দিলে আবুল কালাম ও আব্দুর রশীদ টহলরত বিজিবি সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় মানিকপুর সীমান্ত ফাঁড়ির হাবিলদার মোঃ ইউনুস ভূঁইয়া বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নদীরচর হইতে বালু উত্তোলন করার ফলে বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ী। ইতিপূর্বে শতশত বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেলেও তাদেরকে পুনর্বাসন করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সরকার। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ইছাপুর, সহিদাবাদ, সুলতানপুরের কুশিয়ারা ও আটগ্রামের সুরমা নদী গভীর খনন করে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
মানচিত্র সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে হারিয়ে যাবার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নদীবর্তী এলাকার মানুষ।