কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রকল্পের কাজের মানের বিষয়ে আবারও সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সতর্কবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৩৬০টি মডেল মসজিদে যেন ইসলামিক সাংস্কৃতিক শিক্ষা দেয়া হয়। দেশের যুবকরা যেন জঙ্গীবাদে ঝুঁকে না পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে আরও বলেন, দেশের দক্ষিণে বেশি করে ধান চাষ করতে হবে। ধান চাষকে দেশের দক্ষিণে জনপ্রিয় করতে হবে। প্রয়োজনে লবণাক্ততা সহনীয় ধান উদ্ভাবন করতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। সভায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, যে টাকা ব্যয় করি তা যেন যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এর নাম ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে করোনার উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে বর্ণনা করছে। নতুন এ ধরনের বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। জারি হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এ ভাইরাস নিয়ে আবার অচেনা এক উদ্বেগ নতুন করে দেখা দিয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে একনেক সভায় আলোচনা হয়েছে। দেশবাসীকে সবাই আরও সতর্কসহ সবাই মাস্ক পরতে বলা হয়।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অধিক পরিমাণে সুরক্ষা নিতে হবে। ওমিক্রন বিষয়টি একনেক সভায় আলোচনা হয়েছে। এটাকে অবহেলা করা যাবে না। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রাথমিক সুরক্ষা হিসেবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ঙ্গলবার মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে সরকারী তথ্য নিরাপদ রাখতে সরকারী সব বিভাগ ও সংস্থার জন্য একটি সমন্বিত ‘ক্লাউড-কম্পিউটিং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ, ২ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির জন্য বাকি ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।’ ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে ডেটা সংরক্ষণের একটি সুরক্ষিত অনলাইন সার্ভার ব্যবস্থা। এ প্রকল্পের আওতায় অনলাইন সার্ভারের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে। এসব সার্ভারে অনুমোদিত ব্যবহারকারীরা তাদের যে কোন দলিল জমা রাখতে পারবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে প্রায় ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে মনে করে আইসিটি বিভাগ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে বিসিসি। নিরাপদে ডেটা সংরক্ষণে নিজস্ব ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় নারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ডিজিটাইজেশন এবং সরকারী ও বেসরকারী খাতের ডিজিটাইজেশনের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়। আইসিটি বিভাগের আরও একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প তৃতীয় দফায় সংশোধন করা হয়েছে। শুরুতে এর ব্যয় ছিল ৪৫ কোটি টাকা, এখন বেড়ে হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।
মডেল মসজিদে ব্যয় বেড়েছে ৭১৩ কোটি টাকা : দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মধ্যে। তবে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ঠিক সময়ে শেষ হয় মাত্র ৫০টির নির্মাণ কাজ। কাজ শেষ করতে এক বছর সময় বাড়নো হলেও হয়নি। তাই বেড়েছে সময় ও ব্যয়। আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো এবং ৭১৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পটির সংশোধনী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলায় মডেল মসজিদগুলোকে ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। তরুণরা যাতে সংস্কৃতির দিক থেকে মনোযোগী হয় সেজন্য এখানে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দেশে নতুন তিনটি উপজেলা হয়েছে। তাই মসজিদের সংখ্যা আর তিনটি বাড়বে।’ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, এরই মধ্যে ৫০টি উদ্বোধন করা হয়েছে। ১০০টির কাজ ৩-৪ মাসের মধ্যে শেষ হবে। বাকিগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে শেষ হবে। শুরুতে এ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অর্থায়ন করার কথা ছিল সৌদি আরব সরকারের। তবে দেশটি রাজি না হওয়ায় দেশের টাকায় শুরু হয় কাজ। ২০১৭ সালে অনুমোদন পাওয়া মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। পরে অনুমোদিত প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় কিছুটা কমিয়ে করা ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এবার দ্বিতীয় সংশোধিত ব্যয় আগের চেয়েও বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। ফলে প্রথম সংশোধিত প্রকল্প থেকে দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৭১৩ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার সময় কেন বাড়ানো হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ইট ইজ নট ইন মাই কান্ট্রি এ্যালোন, গো টু আমেরিকা, গো টু ইংল্যান্ড, গো টু সুইজারল্যান্ড। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এসব দেশেও প্রকল্পে দেরি হয়। সুইসরা ঘড়ির মতো চলে, তাদের জেনেভা শহরে আমি গত বছর গিয়েছি, তার আগেও গিয়েছি। মানুষ বকাঝকা করছে, রাস্তা কাটা অনেকদিন ধরে ঠিক হচ্ছে না। আমার পরিচিত লোকজন আমাকে বলল, আর বলবেন না, বলেছে এক বছরে হবে, তিন বছর ধরে রাস্তা ঠিক হচ্ছে না।’ পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বারবার প্রকল্প রিভিশন একটা রানিং সমস্যা, তাই সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। দুর্নীতি যেমন একটা বড় সমস্যা, সবাই এটা নিয়ে চিন্তা করে, প্রকল্প বাস্তবায়ন তেমনি একটি সমস্যা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব কারণে প্রকল্পে একটু দেরি হয়। করোনা তেমনি একটি কারণ। মাঝে মাঝে রেট সিডিউল চেঞ্জ হয়ে যায়, কাজ শেষ করার সময় দেখা যায় মাঝে মাঝে পাথর-বালু-সিমেন্টের দাম বেড়ে যায়। ফলে আবার রিভিশনের প্রয়োজন হয়, টাকার পরিবর্তন হয়। ‘আমাদের দেশে জমি একটা ভয়ঙ্কর সমস্যা। মানুষ জমি ছাড়তে চায় না। আরও সমস্যা রয়েছে যখন প্রকল্পের সার্ভে করে তখন ঠিকমতো সার্ভে হয় না। মাঠে না গিয়ে রিপোর্ট বানিয়ে দেয়। এটা একটা ফ্যাক্ট। এটা একটা জাতীয় সমস্যা। এমন অনেক জটিলতা রয়েছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নদীগুলো দুটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ে। পানি বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, নদীর নাব্যসহ নৌচলাচল দেখার বিষয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে এই দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করে নদী সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা হয়।’ একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে ইসলামিক শিক্ষা দিতে হবে। যেন যুবকরা জঙ্গীবাদে ঝুঁকে না পড়ে।’ অনুমোদিত প্রকল্প ॥ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘মোংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্য উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৫টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর) বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্প। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ও অর্থনীতি সমৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্প এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এ্যাগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডব্লিউএমপি)’ প্রকল্প।
‘মোংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্য উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৩৪ কোটি টাকা; ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা; ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা; ‘৫টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর) বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্পে ৪৫৬ কোটি ৯ লাখ টাকা; ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পে ৭১৩ কোটি টাকা; ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ‘ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ও অর্থনীতি সমৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পে ২ হাজার ৫৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা; ‘সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পে ৩২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এ্যাগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডব্লিউএমপি) প্রকল্পে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয় একনেক সভায়।
কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন। সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।