সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও সীমান্ত এলাকা কয়লা চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৩০ বস্তা অবৈধ কয়লা জব্দ করা হয়েছে। যার পরিমাণ ৩ টন। সুুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার গোলাম মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, মামলা জনিত কারণে সীমান্তের ৩ শুল্ক ষ্টেশন চাঁরাগাঁও, বাগলী ও বড়ছড়া বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন রাতের আঁধারে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়ধর আলী, হাছান মেম্মার ও জয়নাল মিয়া নেতৃত্বে চাঁরাগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়া, হাকিম মিয়া, মর্তুজ আলী, নবাবপুরের নূর ইসলাম ও লালঘাট গ্রামের আব্দুল আলী, আব্দুল হাই, একদিল মিয়া, আলী রহমান, রহিম উদ্দিন, হরমুজ আলী, ঝানু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, মঞ্জিল মিয়া, নজরুল মিয়াসহ প্রায় শতাধিক চোরাচালানীর একটি সিন্ডিকেট ১১৯৬ পিলারের দুইদিকে অবস্থিত লালঘাটে ৩টি ও বাঁশতলায় ১টিসহ মোট ৪টি চোরাই গুহা দিয়ে অবাধে কয়লা পাচার করছে। এজন্য চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে নজরুল মিয়া ও লালঘাটের জয়নাল মিয়া নিজেদেরকে বিজিবি সোর্স পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পের নামে প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করছে। পরবর্তীতে পাচারকৃত কয়লা চাঁরাগাঁও ক্যাম্প সংলগ্ন চোরাচালানী ফরিদ মিয়ার বাড়ির উঠানেও আওয়ামীলীগ নেতা জয়ধর আলীর কয়লার ডিপো ও বসতবাড়ির পাশে মজুত রেখে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে পাটলাই নদীপথে বিভিন্নস্থানে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জয়ধর আলী বলেন, বিচ্ছিন্ন ভাবে কয়লা পাচার হচ্ছে তবে আমি এসবের সাথে জড়িত না, এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারব না। চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মহসিন কয়লা চোরাচালানের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা কয়লাসহ চোরাচালানীদের ধরার চেষ্টা করেও ধরতে পারছি না, তবে সব সময় তৎপর রয়েছি। সুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সীমান্তের চোরাচালান প্রতিরোধে ইতিমধ্যে জোড়ালো তৎপরতা চালিয়েছি।