ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় ৪০ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রাম সংলগ্ন দেওলা বিল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোহনপুর ও কালারুকা ইউনিয়নের খাইরগাঁও দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আলা উদ্দিন (৬০), আব্দুল আলী (৪৫), ছাইদুল ইসলাম (২৮), নুর মিয়া রাজু (৪০), সাব্বির মিয়া (৩৫), নুরুল হক (৫৬), কামাল আহমদ (৩০), খলিল মিয়া (৩৩), আবু বক্কর (৪৫), ফখর উদ্দিন (৩২), খছরু মিয়া (২৫), রাজ উদ্দিন (২৮), শুকুর আলী (৬০), নিজাম উদ্দিন (৩৫), আতাউর রহমান (৩৭), আইনুল হক (৩৫) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আমিরুল হক (৩৫), মুজিবুল হক (৩৩), ইমামুল হক (৩০), দিলোয়ার হুসেন (২৫)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতাল ও কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মফিজ আলীর মালিকানাধিন গ্রামের পার্শ্ববর্তী দেওলা বিলে একটুকরা মাছের ডুবা রয়েছে। সকালে পার্শ্ববর্তী খাইরগাঁও গ্রামের কলমধর আলীর পুত্র নিজাম উদ্দিন, হুশিয়ার আলীর পুত্র রাজ উদ্দিনরা জোরপূর্বক মফিজ আলীর মালিকানাধিন ডুবায় মাছ ধরতে সেচ মেশিন লাগায়। এ সময় মফিজ আলীর পুত্র আবু বক্কর বাধা নিষেধ দিলে নিজাম উদ্দিন গংদের সাথে কথা কাটা কাটি ও একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ শেষে খাইর গাঁও গ্রামবাসীরা মোরগের একটি ফার্ম ভেঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে বলে ফার্মের মালিক ফারুক আহমদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খাইরগাঁও গ্রামের পক্ষ নিয়ে নয়া লম্বা হাটি, খরছ খালী, আকুপুর গ্রামের লোকজন মোহনপুর গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রে জানা গেছে।