ছাতকে ইভটিজিং মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন স্কুল শিক্ষক

158

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারফত আলীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ইভটিজিং নামের মিথ্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হাই আল মাহমুদ এ রায় ঘোষণা করেন। ১১ নভেম্বর উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হাই আল মাহমুদের আদালতে দীর্ঘ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত করা হয়। জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা সিদ্দিকা পান্না তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারফত আলীর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনুর আক্তার পান্নার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মারফত আলীকে ডেকে এনে ৪ মাসের কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন। পরে জেল হাজত থেকে মারফত আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আপিল করেন। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তার জামিন না-মঞ্জুর করায় তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে ১৮ দিন কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হাই আল মাহমুদের আদালতে মারফত আলীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।