জৈন্তাপুরে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, স্বামী আটক

11
জৈন্তাপুরে নিহত গৃহবধূ সেলিনা আক্তার। (ইনসেটে) আটক স্বামী।

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলার বিড়াখাই গ্রামের ১০ মাসের কন্যা সন্তানের জননী গৃহবধূ সেলিনা আক্তার (২৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত ছাড়া সঠিক কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আটক করা হয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় উপজেলার বিড়াখাই গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া (৩৫) এর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং গৃহবধূর লাশ থানায় নিয়ে আসে। গৃহবধূ গোয়াইনঘাট উপজেলার ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইলিয়াস আলীর মেয়ে ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিড়াখাই গ্রামের ডালিম মিয়ার স্ত্রী।
শশুর বাড়ীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বরে গৃহবধূ সেলিনা আক্তার সন্ধ্যায় নিজ পিত্রালয় গোয়াইনঘাট ছৈলাখেল গ্রামে যান। ঐ দিন রাতে মা ও বড় ভাইয়ের বউয়ের কাছে জানায় তার স্বামী ডালিম মিয়া টমটম গাড়ী ক্রয় করবে এজন্য ১লক্ষ টাকা দিতে হবে। গৃহবধূর বড়ভাই আসমান আলী বলেন তুমি বাড়িতে যাও দু-চার দিনের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ভাইয়ের কথায় ১৭ ডিসেম্বর সেলিনা শ্বশুর বাড়ি তার সন্তান নিয়ে বাড়ী ফিরে। সন্ধ্যা ৬ টায় সেলিনার ভাইয়ের কাছে ফোন যায় সে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন সেলিনার স্বামীর বাড়িতে। এদিকে গ্রামবাসী সহ ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুনুর রশিদ সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেলে কেউই ঘটনার বিষয়ে কিছু বলছেন না। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না বলে জানান। এদিকে ঘটনার পর সেলিনার স্বামী ডালিম কে আটক করে পুলিশ।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করান হবে।মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানা যাবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেরর জন্য সেলিনার স্বামীকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।