স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ফাজিল চিশতে বিএনপি নেতা ডা: আরিফ আহমদ মমতাজ রিফার বাড়ীতে বোমা বিস্ফোরণের হত্যা মামলায় ৪ সাক্ষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল)’র বিচারক মোঃ মঈদুল ইসলাম এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিকৃত সাক্ষীরা হচ্ছেন- কোতোয়ালী থানার কনষ্টেবল (কং/১৬০) আব্দুল লতিফ, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার কাউলীডাঙ্গা গ্রামের শাহজাহানের পুত্র বর্তমানে কোতোয়ালী থানা কেন্টিনের মোঃ মাইনদ্দিন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত গীতেন্দ্র দাসের পুত্র বর্তমানে দরগা গেইট হোটেল আল আকসারের ম্যানেজার সুরেন্দ্র দাস ও কুলাউড়া থানার হায়ারচরের আব্দুস সহিদের পুত্র বর্তমানে দরগা গেইট আল-আকসার হোটেলের বয় মোঃ সেলিম। এ মামলার ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আগামী ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারী পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার মোট আসামী ৬ জনের মধ্যে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও মাওলানা আবু সাঈদ হাজতে রয়েছেন এবং জামিনে থাকা আসামী ডাঃ আরিফ আহমদ মুমতাজ ওরফে রিফা, মাসুম আহমদ, শফিক ও ওবায়দা হারুন গতকাল বুধবার আদালতে হাজির হন। এ সময় নগরীর বন্দরবাজার ডাঃ মমতাজ রিফার মালিকানাধীন মানচুরিয়া কালার ল্যাবের ম্যানেজার শহিদ চৌধুরী এবং নগরীর মাছিমপুরের বিপুল সিংহ সাক্ষী গ্রহণ করে আদালত উল্লে¬খিত ৪ সাক্ষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন। এদিকে, ঢাকায় অন্য মামলার হাজিরা থাকায় হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও মাওলানা আবু সাঈদকে বুধবার সিলেট আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
উল্লে¬খ্য, ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৮ টার দিকে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার সভাস্থলের অদূরে নগরীর ফাজিল চিশ্তে ডাঃ আরিফ আহমদ মুমতাজ ওরফে রিফার বাসায় বোমা তৈরীর করতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে মান্নান ও শাহজাহান নামের দু’ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর বাদি হয়ে মোঃ মাসুদ আহমদ সাকিল, ডাঃ আরিফ আহমদ মুমতাজ ওরফে রিফা, রাজু, ওবায়েদ, অসিত, সবুজ ও আলমগীরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি’র গোপাল চক্রবর্তী ও প্রণব কুমার রায় যৌথভাবে ২০০৪ সালের ১৫ মার্চ মুফতি আব্দুল হান্নান ও মাওলানা আবু সাঈদ, আরিফ আহমদ মুমতাজ ওরফে রিফাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৮ মার্চ এ মামলার চার্জ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।