স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসার স্থান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় দু’ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে-দক্ষিণ সুরমার ফেনসিডিল সম্্রাট রাহেলের পিতা রফিক মিয়া (৫০) ও ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহাগ (৩০)। আহত সোহাগের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা ও ফাঁড়ির বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আসংকা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সোহাগের চাঁদনীঘাটস্থ দোকানের সামনে রাহেল ও সোহাগের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের দুই জন আহত হন। আহতদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসার স্থান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। র্যাব ও পুলিশের হাতে সোহাগ ও বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ রাহেল দুইবার গ্রেফতার হয়।
ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহাগের চাচাত ভাই জাবেদ জানান, রাহেল, রাসেল, রফিক, ফেনুসহ ১০/১৫ জন মিলে সোহাগকে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করতে থাকে। ফেনসিডিল সম্রাট রাহেলের পরিবারের দাবী, শাহিন, মিন্টু, আমিন, ছাব্বির, জুনেল, পলাশ, সোহাগসহ ১৫/২০ জন মিলে বাড়ীর ভিতরে এসে হামলা চালায় এবং আমাদের পরিবারের মহিলাদেরেকে মারধর করে এবং রফিক মিয়াকে লাটি দ্বারা এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোরসালিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ সুরমা থানায় অনুষ্ঠিত অপেন হাউজ ডেতে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঝালোপাড়া চাঁদনীঘাটে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসা বেড়ে গেছে। তারা প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চান।