তদন্ত কমিটি যাচাই বাছাই করছে অনেক কিছু ॥ শাবিতে সংঘর্ষ হলেই ছাত্রলীগের অস্ত্র আসত যেভাবে…

40

স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও গ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, আশপাশের মেস, বাসা বাড়ি দখলে নিয়ে আস্তানা গড়ার আধিপত্য নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছিল বলে তথ্য এসেছে তদন্ত কমিটির কাছে। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য গোপনীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ জড়িতদের আটকও শুরু করেছে। উদ্ধার করছে অস্ত্র।
শাবির একাধিক সূত্র জানায়, শাবির হল, চারপাশের মেস, প্রবাসীদের কিছু পরিত্যক্ত বাড়ি দখলে নেয় ছাত্রলীগ। ছাত্রশিবিরকে হল থেকে বিতাড়িত করার জন্য নিজ সংগঠনের ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। অতীতে বেশ কবার শিবিরকে ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে ছাত্রলীগ। যে দু’একজন শিবির কর্মী শাবির হলে রুম নিয়ে পরিচয় গোপন রেখে থাকতো, এদেরকেও শনাক্ত করে মারপিট করে বের করে দেয়া হয়। এক সময় হলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এসব হলের রুমে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পছন্দের কর্মীকে রুম নিয়ে দেন। এই সব হলে ছাত্রলীগ মাদক সেবন থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করতো। এই অপকর্মে অংশ নিতো বহিরাগত ক্যাডাররাও। কিছুদিন আগে হলের আধিপত্য নিয়ে শাবি ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমারকে কোপায় কিছু অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এই দুর্বত্তরা শিবির নাকি নিজ দলের মুখোশধারী ক্যাডাররা-এ রকম অবিশ্বাস-সন্দেহ কাজ করে উত্তম গ্র“পের মধ্যে। হলের দখল নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
এদিকে, হলের চারপাশের মেস দখল, প্রবাসীদের বাসা দখল করে আস্তানা গেড়ে বসা নিয়েও নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়েছিল ছাত্রলীগ। এই সব মেস, বাসা-বাড়িতে অস্ত্র মজুত রাখা সহ নানা অপকর্ম করে আসছিল তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে কিছু ঘটলে দ্রুত অস্ত্র চলে যায় ক্যাডারদের হাতে। পার্শ্ববর্তী নয়াবাজার, টিলাগাঁও, কালিবাড়ি, টুকেরবাজার এলাকায় এসব অস্ত্র রাখা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভৌগোলিক কারণে ক্যাম্পাসের চারপাশে গ্রাম ও বাড়িঘর রয়েছে। এসব এলাকায় অনেক ছাত্র মেস রয়েছে। এসব ছাত্র মেসে ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের দিন ছাত্রলীগের পার্থ গ্র“পের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায়। ওই গ্র“পের কর্মীরা দা, রামদা ও চাপাতি নিয়ে আসে ছাত্রহল থেকে। একই সঙ্গে অঞ্জন গ্র“পের কর্মীরা নগরীর কুয়ারপার, আম্বরখানা, বাগবাড়ি এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলও ছিল ছাত্রলীগের অস্ত্রাগার। আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে সব ধরনের অস্ত্র হলে রাখতো ছাত্রলীগ কর্মীরা। বেশ কয়েক মাস ধরে ওই হল নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের উত্তমের। হলের নিয়ন্ত্রণের জের ধরে উত্তমকে কোপানো হয়েছিল।
হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শাহপরান হল বর্তমানের ছাত্রলীগের দখলে থাকায় বেশির ভাগ কক্ষেই তাদের কর্মীরা বসবাস করতো। এ কারণে হলের ভেতরেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ দা, রামদা, চাপাতি রাখা হতো। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি কক্ষেই এসব অস্ত্র রাখা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনোই অভিযান চালানো হয়নি। এদিকে, শাবির তদন্ত কমিটি এখনো তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, শাবির হল, মেস, বাসা বাড়ি সব তল্লাশি চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে, বেশ কজনকে আটক করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও গ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, আশপাশের মেস, বাসা বাড়ি দখলে নিয়ে আস্তানা গড়ার আধিপত্য নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছিল বলে তথ্য এসেছে তদন্ত কমিটির কাছে। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য গোপনীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ জড়িতদের আটকও শুরু করেছে। উদ্ধার করছে অস্ত্র।
শাবির একাধিক সূত্র জানায়, শাবির হল, চারপাশের মেস, প্রবাসীদের কিছু পরিত্যক্ত বাড়ি দখলে নেয় ছাত্রলীগ। ছাত্রশিবিরকে হল থেকে বিতাড়িত করার জন্য নিজ সংগঠনের ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। অতীতে বেশ কবার শিবিরকে ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে ছাত্রলীগ। যে দু’একজন শিবির কর্মী শাবির হলে রুম নিয়ে পরিচয় গোপন রেখে থাকতো, এদেরকেও শনাক্ত করে মারপিট করে বের করে দেয়া হয়। এক সময় হলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এসব হলের রুমে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পছন্দের কর্মীকে রুম নিয়ে দেন। এই সব হলে ছাত্রলীগ মাদক সেবন থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করতো। এই অপকর্মে অংশ নিতো বহিরাগত ক্যাডাররাও। কিছুদিন আগে হলের আধিপত্য নিয়ে শাবি ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমারকে কোপায় কিছু অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এই দুর্বত্তরা শিবির নাকি নিজ দলের মুখোশধারী ক্যাডাররা-এ রকম অবিশ্বাস-সন্দেহ কাজ করে উত্তম গ্র“পের মধ্যে। হলের দখল নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
এদিকে, হলের চারপাশের মেস দখল, প্রবাসীদের বাসা দখল করে আস্তানা গেড়ে বসা নিয়েও নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়েছিল ছাত্রলীগ। এই সব মেস, বাসা-বাড়িতে অস্ত্র মজুত রাখা সহ নানা অপকর্ম করে আসছিল তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে কিছু ঘটলে দ্রুত অস্ত্র চলে যায় ক্যাডারদের হাতে। পার্শ্ববর্তী নয়াবাজার, টিলাগাঁও, কালিবাড়ি, টুকেরবাজার এলাকায় এসব অস্ত্র রাখা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভৌগোলিক কারণে ক্যাম্পাসের চারপাশে গ্রাম ও বাড়িঘর রয়েছে। এসব এলাকায় অনেক ছাত্র মেস রয়েছে। এসব ছাত্র মেসে ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের দিন ছাত্রলীগের পার্থ গ্র“পের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায়। ওই গ্র“পের কর্মীরা দা, রামদা ও চাপাতি নিয়ে আসে ছাত্রহল থেকে। একই সঙ্গে অঞ্জন গ্র“পের কর্মীরা নগরীর কুয়ারপার, আম্বরখানা, বাগবাড়ি এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলও ছিল ছাত্রলীগের অস্ত্রাগার। আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে সব ধরনের অস্ত্র হলে রাখতো ছাত্রলীগ কর্মীরা। বেশ কয়েক মাস ধরে ওই হল নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের উত্তমের। হলের নিয়ন্ত্রণের জের ধরে উত্তমকে কোপানো হয়েছিল।
হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শাহপরান হল বর্তমানের ছাত্রলীগের দখলে থাকায় বেশির ভাগ কক্ষেই তাদের কর্মীরা বসবাস করতো। এ কারণে হলের ভেতরেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ দা, রামদা, চাপাতি রাখা হতো। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি কক্ষেই এসব অস্ত্র রাখা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনোই অভিযান চালানো হয়নি। এদিকে, শাবির তদন্ত কমিটি এখনো তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, শাবির হল, মেস, বাসা বাড়ি সব তল্লাশি চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে, বেশ কজনকে আটক করেছে।