সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে চরম অনিয়মের অভিযোগ করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী। মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন রেডিও প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মিসবাহ উদ্দীন, ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ দিদার হোসেন, মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী, এসি প্রতীকের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম খান ছাদেক ও লাটিম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে ২২নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে চরম অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এই ওয়ার্ডের জনৈক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা বহিরাগতদের নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাদের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আগের রাতে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে উপশহর এলাকায় জড়ো করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে এরা সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দখল, জালভোট ও নৈরাজ্য শুরু করে। এটা নির্বাচন হয়নি, প্রহসন হয়েছে। ভোটের বদলে লুট হয়েছে।
প্রশাসনের সামনেই বহিরাগতরা জাল ভোট প্রদান করে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, অভিযোগ করেছি, কোন সুরাহা পাইনি। প্রত্যেকে বলেছেন আমরা দেখছি। প্রশাসনের সামনেই এরা জবরদখল ও জালভোটের মহোৎসব করেছে, কেউ বাধা দেয়নি।
তিনি জানান, সোমবারই আমরা ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইব্রাহীম খান ছাদেক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল কেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে জেনে আমি সেখানে যাই। কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্য আমাকে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখান। দুষ্কৃতিকারীদের সুযোগ করে দিতে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ কাউন্সিলরপ্রার্থী ছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি