জৈন্তাপুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত ৩০

41

এস এম রাজু, জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাপুরের বিলের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী-পুলিশ সংঘর্ষে ২ পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে ছাতারখাই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী স্থানীয় সূত্রে জানান- কয়েক যুগ থেকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের মকাডুল মৌজার প্রায় ১১ একর ভূমির উপর বড়জুরী (কাঠাগাঙ্গ) বিলের মহাল সামিল জলকর হিসাবে ভোগ দখল করে আসছে ছাতারখাই গ্রামবাসী। বিলটি গত বৎসর স্থানীয় ভাবে নিলাম ডাকা হলে ঐ বৎসর ছাতারখাই গ্রামের বাহার উদ্দিন পাখি নিলাম গ্রহণ করে। পরে তার সাথে যুক্ত হন দরবস্ত চাল্লাইন গ্রামের আব্দুল হক মেম্বারের ছেলে বশির আহমদ (৪৫)। চলতি বৎসরে বিলটি গ্রামবাসী নিলাম না দিয়ে নিজেরা মাছ ধরে আসছে। গত কয়েক দিন থেকে বিগত বৎসরের নিলাম গ্রহিতা জোরপূর্বক ভাবে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রামবাসীর কাছ থেকে বিলটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। গতকাল ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামবাসীরা সম্মিলিত হয়ে বিলে মাছ ধরতে থাকে। এ সময় হঠাৎ করে গত বৎসরের নিলাম গ্রহিতা বাহার উদ্দিন পাখি ও বশির আহমদের পরামর্শে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ বিলে গিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় গ্রামবাসীকে অভিযোগ ছাড়াই ধরে আনার চেষ্টা চালায়। এক সময় গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা শুরু হয়  এক পর্যায় পুলিশ গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। এতে জৈন্তাপুর মডেল থানার এ.এস.আই নবী হোসেন (৪২), কনেষ্টবল মোঃ রিপন (২১) সহ ৩০জন গ্রামবাসী আহত হন। পুলিশের গ্রেফতার আতংকে আহত লোকজন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে গুরুতর আহত পুলিশের এ.এস.আই নবী হোসেনকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ(ওমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে গ্রেফতার আতংকে ছাতারখাই গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ অভিযোগ পেয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিলে যায়। এ সময় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। আইন শৃঙ্খলায় নিয়েজিত থাকা ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এসল্ট  মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।