জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা সভাপতি ও ২০ দলীয় জোট সিলেটের অন্যতম নেতা মকসুদ হোসেন বলেন, দেশে বড় দুর্দিন। গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর উপর নির্বিচারে গুলি চলছে। দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দ সহ এক ঝাক মেধাবী তরুণরাই এখন সরকারের টার্গেটে পরিণত। খলনায়করা আজ নায়ক। খুনের রাণীরা এখন দেশপ্রেমিক বজ্রকণ্ঠ মজলুম জননেতা শফিউল প্রধানকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। এই নেতাই সেদিন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকে টেকসই করার জন্য যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তা অব্যাহত থাকলে সত্যিকারের সোনার বাংলাই আজ গড়ে উঠতো। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জলিলই ৭৩-৭৪ সালে মিত্র বাহিনীর নামে ভারতীয় বাহিনী দেশে হানাদার পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র গোলাবারুদ ভারতে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই সময় তিনি গ্রেফতার হন। তিনিই প্রথম বাংলার রাজবন্দী। রাজনীতিতে সুশাসন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি এক মুক্তির সংগ্রামে ডাক দিয়েছিলেন। মেজর জলিল শুধু সেক্টর কমান্ডারই ছিলেন না তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের এক সিংহপুরুষ ছিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরবাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে গতকাল বুধবার জাপগা সিলেট জেলা ও মহানগর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মকসুদ হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জেলা জাগপা সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ বিলাসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-নগর জাগপার আহবায়ক সুনামগঞ্জ জেলা আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল, আব্দুল মোতাওয়াল্লী ফলিক, জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান জুনু, জেলা জাগপা নেতা পিয়ার হোসেন, রেজওয়ানুল করিম রেজওয়ান, নগর জাগপা নেতা সবুজ আহমদ, শাহজাহান আহমদ লিটন, খলিল আহমদ, আমিনুর রহমান লিটন, জেলা যুব জাগপার আহবায়ক ইকবাল হাসান জাহিদ, নগর যুব জাগপার আহবায়ক আব্দুল মুহিত রফি, যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ দীপু, শহিদুজ্জামান আলো, সদস্য সচিব হেলাল আহমদ হেলাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি