স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশের বর্তমান স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি চুক্তি অনুসারেই সুযোগ পেলে জাতীয় দলের বাইরে কাজ করবেন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ও পাইপলাইনের স্পিনারদের নিয়ে। তবে গতবছর নভেম্বরে ভারত সিরিজ দিয়ে টাইগহারদের সাথে কাজ শুরু করা ভেট্টোরি সেভাবে ফাঁকা সময় পাননি। তবুও ৩-৪ দিন আলাদা করে কাজ করেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, হাসান মুরাদ, তানভীর ইসলামদের সাথে।
করোনা প্রভাবে লম্বা সময় ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা টাইগাররা শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে। জাতীয় দলের সাথে এইচপি ইউনিটও একই সঙ্গে লঙ্কা সফর করবে। দুই দলেরই শ্রীলঙ্কায় আলাদা আলাদা সিরিজ চূড়ান্ত। তবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মানতে হবে বিধায় এক মাস আগেই দ্বীপ রাষ্ট্রের বিমানে চড়বে জাতীয় দল ও এইচপি ইউনিট।
মূল সিরিজ শুরু আগে একই সঙ্গে অবস্থান করে অনুশীলন ও নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। ফলে একই সাথে দুই দলের স্পিনারদের নিয়েই কাজ করার সুযোগ থাকছে সাবেক কিউই তারকা স্পিনারের। কিংবদন্তি এই স্পিনারকে এভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে বলে খুশি এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দুর্জয় বলেন, ‘চুক্তি অনুসারেই সে জাতীয় দলের বাইরের স্পিারদের নিয়েও কাজ করবে। ক্যাম্পের সময় সে এইচপির স্পিনারদের দিকে নজর দিতে পারবে। কিন্তু জাতীয় দল যখন তাদের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে তখন সেটা সম্ভব হবে না।’
‘কারণ ঐ সময় এইচপি স্কোয়াডও আলাদা হয়ে যাবে। সম্ভবত জাতীয় দল ও এইচপি ইউনিট মিলিয়ে মোট ৭-৮ জন স্পিনারকে নিয়ে কাজ করতে পারবে সে। এই সময়ের মধ্যে দ্ ুদলের স্কোয়াডকে নিয়ে কীভাবে কাজ করবে তার পরিকল্পনাও সাজাচ্ছে কোচিং স্টাফরা।’- দুর্জয় বলেন।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজটি। তবে সেপ্টেম্বরের শেষদিকেই দেশ ছাড়বে জাতীয় দর ও এইচপি স্কোয়াড। দুই স্কোয়াডের প্রায় ৫০ জন ক্রিকেটার একসাথে লঙ্কান বিমানে চড়বে। জাতীয় দলের স্কোয়াড ২০-২২ জনের হবে বলে আভাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।