কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট গাছবাড়ী আইডিয়াল কলেজের কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃক কলেজে যাতায়াতের মূল সড়কের পাশে অবস্থিত এক ব্যক্তির টিনশেডের একটি দোকান কোঠা গত শনিবার ভাংচুর করে পরবর্তীতে আগুন ধরিয়ে আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ঘরের মালিক স্থানীয় ভাড়ারীমাটি গ্রামের আশরাফ উদ্দিন জানান, তার মরহুম পিতা আব্দুল খালিক কলেজ সংলগ্ন বুরহান উদ্দিন সড়কের পাশে ১৩শতক জমি দলিলমূলে খরিদ করেন। উক্ত খরিদকৃত জমির উপর কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাটি রয়েছে। ৮ ফুটের মতো রাস্তা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পর অবশিষ্ট খরিদা জমির কিছু অংশে তারা টিনশেডের দোকান ঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু খাড়া অজুহাত এনে আনুমানিক ১৫ দিন পূর্বে কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি জাপা নেতা শাহাব উদ্দিনের ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের টিনশেডের দোকান ঘরটি ভাংচুর করানো হয়। পরে আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে উক্ত জায়গার উপর স্থিতিঅবস্থার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবশিষ্ট সাটারিংয়ের টিনশেডের দোকানঘরটি গত শনিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কলেজের কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর করে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে আনুমানিক দু’লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। ভাংচুরের সময় এলাকার কয়েকজন প্রবীণ মুরব্বি ও ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করলেও তারা তা মানেনি। ভয়ে দোকান ঘরের মালিক আশরাফ উদ্দিন প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরে আশরাফ উদ্দিন কানাইঘাট পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কলেজের যাতায়াতের রাস্তা পাকাকরণের জন্য এলজিইডির উদ্যোগে কাজ চলছে। আশরাফ উদ্দিন নির্মাণাধীন রাস্তার ২ ফুট দখল করে টিনশেডের দোকান ঘর নির্মাণ করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার সময় তিনি কলেজে ছিলেন না বলে জানান। অপর দিকে কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি শাহাব উদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।