ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলার জের ॥ মৌলভীবাজারের রাজনগরে গৃহবধূকে হত্যা

326

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা সিতাই রানী বিশ্বাস (৩০) স্বামীর সঙ্গে ছিলেন ভারতের কৈলাশহরে। স্বামী নিখিল বিশ্বাসের সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটায়।
এ নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করার পরই তাকে খুন করার প্রস্তুতি নিতে থাকে নিখিল বিশ্বাস।
গত ১ নভেম্বর শনিবার তাকে নিয়ে আসে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কানিকোল গ্রামে। গত ৩ নভেম্বর রাতে ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয় রাজনগরের ক্ষেমসহ¯্র গ্রামের বড়বন্দের ধানি জমির পাশে। পরে ঘটনাটি চাপা দেয়া এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বুঝানোর জন্যই লাশ বিবস্ত্র করে রাখা হয়।
রাজনগর থানা পুলিশ গোপন সংবাদে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাজনগর উপজেলার কানিকোল গ্রামে এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। এর পরই বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কানিকোল গ্রামের বিষ্ণু নমঃশূদ্র (৫৫), তার ছেলে বিকাশ নমঃশূদ্র (২০), স্ত্রী রানী নমঃশূদ্র (৪৫) ও নিখিলের সৎ ভাই নিশি নমঃশূদ্র (৪৫)।
গত ১১ নভেম্বর রাজনগর থানায় নিখিল বিশ্বাসসহ গ্রেফতারকৃত ৪ জনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন নিহতের ভাই বিরেন্দ্র বিশ্বাস। পুলিশ আটক ৪ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
রাজনগর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক আবদুর রহমান তরফদার বলেন, গ্রেফতার ৪ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গজিয়ল গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে নিহত সিতাই বিশ্বাস।
সেখানে বিরেন্দ্র বিশ্বাস নামে তার এক ভাই রয়েছে। ৩ বছর বয়সে মা-বাবা মারা গেলে তার খালা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সুকুময় বিশ্বাসের স্ত্রী মতই বিশ্বাসের কাছে বড় হয় সে।
গত ৭-৮ বছর আগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে মৃত সদয় বিশ্বাসের ছেলে নিখিল বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নিখিল বিশ্বাস তার মামার বাড়ি রাজনগর উপজেলার কানিকুল গ্রামে বসবাস করতো। বেশ কিছু দিন থেকে সে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে চলে যায়।
প্রসঙ্গগত: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গজিয়ল গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে নিহত সিতাই বিশ্বাস।
সেখানে বিরেন্দ্র বিশ্বাস নামে তার এক ভাই রয়েছে।
তিন  বছর বয়সে মা-বাবা মারা গেলে তার খালা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সুকুময় বিশ্বাসের স্ত্রী মতই বিশ্বাসের কাছে বড় হয় সে।
গত ৭-৮ বছর আগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে মৃত সদয় বিশ্বাসের ছেলে নিখিল বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই নিখিল বিশ্বাস তার মামার বাড়ি রাজনগর উপজেলার কানিকুল গ্রামে বসবাস করতো। বেশ কিছু দিন থেকে সে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে চলে যায়।