জৈন্তাপুর উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দু’পার্শ্বের কয়েক হাজার বৃক্ষ নির্ধন করে সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ও পিডিবি কর্তৃক বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থ বৎসরে সৃজিত সামাজিক বনায়নের সবুজ বাগান ধ্বংস করে নতুন লাইন নির্মাণের নামে বাগান ধ্বংস করছে। এরই প্রতিবাদে জৈন্তাপুরে মানববন্ধন পালন করে উপকারভোগীরা।
জানা যায়- গত ২০০৭-৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থ বৎসরে সারী বন বিটের আওতায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দামড়ি হতে সারী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৮৫টি পরিবারকে উপকারভোগী সদস্য করে প্রায় ৪০ হাজার বৃক্ষের চারা রোপণ করে সবুজ বাগান স্থাপন করা হয়। এই বাগান গুলো উপকার ভোগী সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ২০০৭ হতে অধ্যবদি পর্যন্ত বাগান পরিচর্যা করে আসছে উপকারভোগী সদস্যরা। কিন্ত তাদের সৃজিত বাগানের সবুজ ছায়া কেড়ে নেয় পর্যটকদের প্রাণ। বাগানের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি স্বার্থানেষী মহলের ইশারায় সিলেট পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ ও পিডিবি বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের নামে সৃজিত বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগ ও উপকারভোগী সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই তারা বেপরোয়া ভাবে গাছ কেটে সবুজ বিপ্লব ধ্বংস করছে। তারই প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার দরবস্ত বাজারে বনবিভাগের মনোনিত উপকার ভোগী সদস্য ও বৃক্ষপ্রেমী এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন পালন করে। মানববন্ধন শেষে উপকারভোগী সদস্য মিজানুর রহমান সেলিম ও দরবস্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন ফোমার এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল আলম বাহার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কুতুব উদ্দিন, হারিছ আহমদ, দরবস্ত মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজ উদ্দিন রব্বানী, জৈন্তাপুর নার্সারী মালিক কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শামীম আহমদ, বাবুল, হারিছ, ময়না দে, আতিক আহমদ, নাজিম উদ্দিন আবুল ফজল, ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমদ, ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য মোদছির মিয়া।
বক্তারা অবিলম্বে সিলেটের পর্যটন এলাকার সবুজ ছায়ার বৃক্ষ বাগান রক্ষার দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি