ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পান্নার লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ

2

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
জানাযায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়। নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে শনিবার মেঘালয় পুলিশ ইসহাকের মরদেহ তামাবিল বর্ডার দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, বিজিবির হাবিলদার রুপম, বিএসএফ’র সাব ইন্সপেক্টর রামচন্দ্রসহ ভারত, মেঘালয়ের ডাউকি থানা পুলিশ, ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ, তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও নিহত ইসহাকের পরিবারের সদস্যরা।
পরে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ মৃতদেহটি তার অভিভাবক (ভাতিজা) মোঃ কামরুজ্জামান খান নাবিল’র কাছে হস্তান্তর করে। এ রিপোর্ট লেখার সময় লাশটি একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে (গাড়ি নং- ঢাকা মেট্রো – শ ১৩২৫০৬) নিয়ে তামাবিল আইসিপি ত্যাগ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এ আগষ্ট রাতে সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভারতের অভ্যন্তরে মারা যান ইসহাক আলী খান পান্না। ২৬ আগষ্ট ভারতীয় পুলিশ মেঘালয় রাজ্যের ইস্ট খাসি হিলস জেলার উমকিয়াং থানার দোনাভোই নামক সীমান্ত এলাকার এক পান-শুপারী বাগানের ভিতর (বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শুন্য রেখা হতে ১.৫ কি.মি. ভারতের অভ্যন্তরে) হতে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ইসহাক আলী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্ত ক্ষরণের কারনে মৃত্যুবরণ করেন বলে মৃতদেহের সঙ্গে থাকা নথিপত্র থেকে জানাগেছে।