শিশুদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও ভাষা শিক্ষার জন্য অভিভাবকদেরকেও সচেতন হতে হবে – হারুনুজ্জামান চৌধুরী

65

Kemusas-Picকেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে শিশুদেরর আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।
গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে শিশুদের আবৃত্তি কোর্সের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হারুনুজ্জামান চৌধুরী তিনি বলেন, ২০১৪ সাল কেমুসাসের জন্য স্মরণীয় একটি বছর। এ বছর আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো শিশুদের আবৃত্তি প্রশিক্ষণ। এ আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের শুদ্ধ উচ্চারণ, বাংলা ভাষা যথার্থভাবে রপ্ত করার কৌশল শেখানো। আমি আশা করি মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে যে আবৃত্তি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে তা অবশ্যই সফলতা বয়ে আনবে। তাদের প্রত্যেকেই শুদ্ধ বাংলা ভাষা রপ্ত করতে সক্ষম হবে। শিশুদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও ভাষা শিক্ষার জন্যে অভিভাবকদেরকেও  সচেতন হতে হবে।
আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কোর্স উপ কমিটির আহবায়ক এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপনের সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কোর্স উপ কমিটির সদস্য এ মাহবুব ফেরদৌস এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মানিক, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মুহিবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের জীবন সদস্য এবং আবৃত্তি কোর্স উপ কমিটির সদস্য দেওয়ান মাহমুদ রাজা, অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল মুকিত অপি, সাংবাদিক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ সুহেল আহমদ, আবৃত্তি প্রশিক্ষক কবি নাজমুল আনসারী, প্রশিক্ষক কবি মামুন সুলতান।
হারুনুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, আবৃত্তি শেখার জন্য সুরেলা কণ্ঠ সবচে অপরিহার্য নয়। প্রয়োজন শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার আগ্রহ। আমাদের শিশুদেরকে সঠিকভাবে  বাংলা ভাষা শেখানো বড় প্রয়োজন। আমি আশা করব এখানে যারা আবৃত্তি শিখতে এসেছে তারা শুধু আবৃত্তিই শিখবেনা। বাংলা ভাষায়ও পারদর্শী হবে। আমি আশা করি আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা সমাজকে নতুন কিছু উপহার দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হামিদ মানিক বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ শুধুমাত্র বয়স্কদের জন্য নয়। শিশুদের জন্যও একটি সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য প্রতিষ্ঠান। বয়স্কদেরকে যে সেবা দেয়া হচ্ছে শিশুদেরকেও সেরকম সেবা দেয়া হবে। ১৯৩৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কর্মকান্ড বিস্তৃত, ইনশা-আল্লাহ এ কর্মকান্ড আরও বিস্তৃত হবে। আমি আশা করব অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে আসবেন এবং সংসদের কর্মকান্ড যেন উন্নতির দিকে যায় সে জন্য আপনারা সহযোগিতা করবেন।
আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ কয়েকজন মহান ব্যক্তির হাতে গড়া। আজ এটি একটি অন্যতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান। শিশুদের আবৃত্তি কোর্সও শুরু হয়েছে। আশা করি এ প্রতিষ্ঠানের শিশু আবৃত্তি শিল্পীরা আবৃত্তির মাধ্যমে নিজেকে, মুসলিম সাহিত্য সংসদকে এবং বাংলাদেশকে আলোকিত করবে। বিজ্ঞপ্তি