স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি’র ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে নগরীর ৪টি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে অফিস-আদালত খোলা। ব্যস্ত-স্বাভাবিক নগর জীবন। শুধু লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল।
নগরী ঘুরে জানা গেছে, নগরীর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা। সেখানে লোকজনের উপস্থিতি একটু কম। বেশিরভাগ দোকানই খোলা। তবে বড় বড় শপিংমলগুলো বন্ধ আছে। নগরীতে টাউন বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও রিক্সা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮ টায় নগরীর আম্বরখানায় সহিংসতা চালিয়েছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ঝটিকা মিছিল থেকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা একটি সিএনজি অটোরিক্সায় আগুন ও তিনটি অটোরিক্সা ভাংচুর করে। পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছে। দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকায় জামায়াত-শিবির বের হয়েছিল। পুলিশ ধাওয়া করলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় একযোগে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। মোটরসাইকেলে করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মী নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে ৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হাতবোমার বিস্ফোরণের সাথে সাথেই খালি হয়ে যায় জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকা। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। একই সময় বন্দরবাজার এলাকায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিছিল বের করার চেষ্টা করে স্বেচ্ছাসেবক দল। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ হয়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের ধাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল কাদির।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, চন্ডিপুল মোড়ে সিনিয়র সব অফিসারসহ পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে পিকেটাররা কোনো নাশকতা করতে পারেনি। নাশকতাকারীদের ধরতে টহল পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল আলম বলেন, শহরের অবস্থা স্বাভাবিক। আম্বরখানা পয়েন্টসহ পিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণ চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। এদের ধরতে অভিযান চলছে।