নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
আগামী ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সম্প্রসারণ কেন্দ্র ও বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের ৩৪১ মেগাওয়াট বিবিয়ানা বিদ্যুৎ-২, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে বিবিয়ান পাওয়ার প্লান্টের সংযোগ সড়ক উদ্বোধনকে সামনে রেখে এ প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের জন্য এশিয়ার বৃহত্তম বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড ও বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্লান্টে একদিনের সরজমিনে পরিদর্শন করলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদ বিপু। এসময় তার সাথে ছিলেন, হবিগঞ্জ ও সিলেটের ৫ এমপিসহ দলীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষ। সাজ সাজ রব আর জমজমাট পরিবেশে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর এই সফরকে বরণ করতে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত শেভরন বাংলাদেশ ফুলের তোড়া দিয়ে বিশাল কেক কাটার মধ্য দিয়ে তাকে বরণ করে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে মন্ত্রী শেভরন বাংলাদেশের নিজস্ব সি-প্লেইনযোগে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের পার্শ্বে কুশিয়ারা নদীতে অবতরণ করেন। এ সময় শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এর পর বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে মন্ত্রী বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের ভিতরে যান। সেখানে শেভরন বাংলাদেশ কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ, নবীগঞ্জের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের সাথে কয়েক দফা মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভা শেষে সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন। এ সময়ের নবীগঞ্জের ঘরে ঘরে বিবিয়ানার গ্যাস দাবী তুলে ধরা হলে তিনি এ প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে বলেন, নবীগঞ্জে জ্বালানী সংকট দূর করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি আজকের মতবিনিময় সভায় নবীগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪০ কি. মি. বিদ্যুৎ বরাদ্দ দিয়েছি। তিনি বলেন, যে এলাকায় গ্যাস রয়েছে সে এলাকার দাবী যুক্তিসংগত। প্রধান মন্ত্রীর সফর সম্পর্কে তিনি কোন মন্তব্য না করে বলেন, নবীগঞ্জ বাসীর দাবী প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে রয়েছে। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য এড. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলী, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য জাপা নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সিলেট ও হবিগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ, জ্বালানী সচিব মনোয়ার ইসলাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহুল্লাহ, পিডিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুক আল বেরুনী, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি আনোয়ার হোসেন, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক এডঃ মুজিবুর রহমান কাজল, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, নবীগঞ্জে সিনিয়র সাংবাদিক এমএ আহমদ আজাদ, যুগান্তর প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা রবীন্দ্র কুমার পাল, আব্দুল মুহিত চৌধুরী, আব্দুল মালিক, গোলাম হোসেন, মুজিবুর রহমান, প্রতিদিনেরবাণী প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মঞ্জুর আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নিজামুল হক চৌধুরী প্রমুখ। মতবিনিময় সভার পর শেভরন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। বেলা ২টায় বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে মন্ত্রী গাড়ী যোগে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শনে যান। পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বিকেলে বিকালে বিদ্যুৎ প্লান্টের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তার সাথে সংসদ সদস্যবৃন্দ ছাড়াও জ্বালানী সচিব ও পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টায় তিনি আবারও শেভরনের বিমান যোগে ঢাকায় চলে যান। মন্ত্রী বিদায়ের পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তাদের ডিও লেটারের ফলে নবীগঞ্জের ১ নং বড় ভাকৈর পশ্চিম ও ২ নং ছোট ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে ৪০ কি. মি. বিদ্যুৎ বরাদ্দ দিয়েছেন। এ সময় দুই এমপি বলেন নবীগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাসের দাবী পূরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আজকে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি।