স্টাফ রিপোর্টার :
বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ ইউনিয়নের দিগড় বেড়কুড়ি মৌজায় জাল দলিলের মাধ্যমে এক নিরীহ ব্যক্তির ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা করছে সংঘব্ধ চক্র। গতকাল শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন উপজেলার নবীনগর গ্রামের মৃত সুনীল ধরের পুত্র সুবল ধর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দিগড় বেড়কুড়ি মৌজায় পৃথক পৃথক দলিলে মোট ৩৭ সাইত্রিশ শতক ভূমি ক্রয় করি। আব্দুল গনি গংদের নিকট থেকে ৩০ শতক এবং দেবকৃষ্ণ গংদের নিকট থেকে ৭ শতক ভূমি ক্রয় করে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছি। সম্প্রতি উক্ত ভূমি থেকে ১০ শতক ভূমি হাজী আলী হোসেন গংদের নিকট বিক্রি করে দখল সমঝে দিয়েছি। অথচ এই ভূমি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বালাগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা মৃত কলন্দর আলীর পুত্র দুলাল মিয়া, সমছু মিয়ার পুত্র আব্দুল আহাদ, মৃত মনফর উল্লার পুত্র জরিক মিয়া ও মৃত ওয়াহিদ উল্লাহর পুত্র কনর মিয়া। ওই ভূমিখেকো চক্র জনৈক যতীন্দ্র নমসুদ্রকে দিয়ে জাল উত্তারাধিকারী সার্টিফিকেট তৈরি করে ও নরেন্দ্র চন্দ্রের ভাগিনাকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে বালাগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৫০১ নং রেজি:কৃত দলিলমূলে মালিক দাবি করছে। যা আদৌ সত্য নয়। এরা শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের জাল দলিল তৈরি করেছে। ওই চক্র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে বিবিধ মোকদ্দমা দায়ের করলে উক্ত মোকদ্দমা শুনানী অন্তে না মঞ্জুর হয়।
সুবল ধর বলেন, বালাগঞ্জ থানার এস.আই রনেশ ভট্টাচার্য্য ০৯/২০১৪ইং বিবিধ মোকদ্দমা তদন্ত প্রতিবেদনে “উক্ত ভূমির মালিক নরেশ চন্দ্র নমসুদ্র এর উত্তরাধিকারী ভাগিনা যতিন্দ্র নমসুদ্র কাছ থেকে ওই চক্র ভূমি ক্রয় ও ভোগদখল করছে বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এমন প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্লেখ্য যে, যতিন্দ্র নমসুদ ইতিপূর্বে নোটারী পাবলিকের মধ্যমে একটি হলফনামায় অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি উক্ত ভূমির মালিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুবল ধর জাল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহবান জানান।