স্টাফ রিপোর্টার :
বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিমাংশ রঞ্জন দাস ও তার অনুসারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাধিকা রঞ্জন দাস। তিনি ওই ইউনিয়নের কায়েস্থঘাটের মৃত রাখেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। ইউপি চেয়ারম্যানের চাচা জগদীশ চন্দ্র দাসসহ সমাজপতিদের অত্যাচারের কারণে তিনি এ প্রাণনাশের শঙ্কায়ও রয়েছেন। একই সাথে তার মালিকানাধীন ১০ ফুট জায়গাও বিরেন্দ্র কুমার দাস জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে তারা। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কায়েস্তঘাট হিন্দু সমাজের পঞ্চায়েত নামদারী জগদীশ চন্দ্র দাশ এবং ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশ রঞ্জন দাস গংদের নানা অপকর্মের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সবাই কথা বলতে ভয় পায়। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কায়েস্তঘাট দাসপাড়ার দেবতা কাঁলাচাদ বাড়ীর অনুদানের ৩০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখে দেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কায়েস্থঘাট উত্তর, বিনোদপুর, নাড়িকলা গ্রাম নিয়ে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এবং কায়েস্থঘাট দক্ষিণ,কান্দিগাঁও গ্রাম নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড গঠিত। সরকার কর্তৃক গ্রামের মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য দু’টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর মধ্যে একটি নিজের বাড়িতে এবং একটি তার চাচা জগদীশ দাসের বাড়িতে স্থাপন করেছেন। ফলে এ দু’টি নলকূপ গ্রামের জনসাধারণের কোন কাজেই আসছে না।
তিনি রাস্তার উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের দেয়াল নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চেয়ারম্যানের নানান অপরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এসব বিষয়ে তিনি ২০০২ সালে ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করলে চেয়ারম্যান গংদের চক্ষুশুলে পরিণত হন। এরপর থেকেই তাকে তারা নানাভাবে হেনস্তা করে আসছে। সর্বশেষ গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে চেয়ারম্যান হিমাংশু শিব্বির মেম্বার গং আমাকে বলেন তোমার ছেলে রত্নেস্বর (কানাই) তারে তোমার ঘরে যায়গা দেও, আমি বলি সিলেট বাসার যায়গা তাদের দুই ভাইয়ের নামে, বাড়ীর যায়গা আমরা স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েদের অবস্থান তারা তাদের সিলেটের জায়গায় যাক। এরপর ২৭ জুলাই সকালে হামলায় তিনি আহত হন বলেও জানান।
তিনি বলেন, আমি তাদের বলেছি আমি এটা এইভাবে মেনে নিতে পারবো না আমি আইনের আশ্রয় নিব এবং আমর বড় ছেলে রত্নেস্বর দাস (কানাই) নিজ ইচ্ছায় আমাকে বর্জন করে বাড়ী থেকে চলে গিয়েছিল, তারা তাকে আমার ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে আমাকে বলে তোমার ঘরে তোমার ছেলেকে তুমি যায়গা দাও, তারপর তারা ছেলেকে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে গেল।’ এরপর তিনি প্রাণের ভয়ে সিলেট বটেশ্বর এলাকায় বাসায় চলে যান বলেও দাবি করেন।