কাজির বাজার ডেস্ক
নবম রমজানের ফজিলত নবী-রাসুলদের সাথে দাঁড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়।
রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসটি জুড়েই রয়েছে মুমিনের জন্য অফুরন্ত রহমত ও খোদা তা’লার পক্ষ থেকে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ। সেইসাথে বরকতের নেয়ামততো আছেই। এ কারণে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মাসটি অতিবাহিত করেন মুমিনগণ। আজ রমজানের নবম দিন। এদিন রোজাদারের নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়। ৯ম রোজার দোয়া : হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও।
এছাড়া, হাদিস শরীফে আরো এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজানের প্রথম রাত আসে শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না। বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের জন্য বেহেশত সাজানো হয় বছরের প্রথম থেকে পরবর্তী বছর পর্যন্ত। তিনি বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম দিন উপস্থিত হয় বেহেশতের গাছের পাতা হতে আরশের নিচে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের প্রতি বিশেষ হাওয়া প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলে, হে পালনকর্তা! আপনার বান্দাদের মধ্য হতে আমাদের জন্য এমন স্বামী নির্দিষ্ট করুন যাদের দেখে আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদের দেখে তাদের চোখ জুড়াবে।
এ জন্য সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে। নামাজ ও রোজার পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আসগারসহ বরকতের মাসটিকে কাটাতে হবে। তবেই আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত আমাদের নসিব হবে।
আল্লাহপাক সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।