জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ফ্যাসিস্টের পতন ও জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশপ্রেমিক শ্রমজীবী মানুষকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসতে হবে। শ্রমিক ভাইদেরকে তাদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া শ্রমিকদের মুক্তি সম্ভব নয়। তাই ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সর্বস্তরের জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিনত করতে দেশের সকল সেক্টরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। শ্রমিকদেরকে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে শামিল করতে হবে। শ্রমিক আন্দোলনকে কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। সকল ট্রেড ইউনিয়নকে সক্রিয় করতে হবে। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশনের কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়। এর ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি শনিবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগরের কার্যকরী পরিষদের ১ম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট জামিল আহমদ রাজুর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুকেরু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজাহান আলী। অধিবেশনে দারসুল কোরআন পেশ করেন সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফেডারেশনের সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি মিয়া মোঃ রাসেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক কফিলউদ্দিন আলমগীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিলশাদ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা সোহেল আহমদ হাওলাদার, ইকবাল হোসাইন ও অ্যাডভোকেট জিল্লুল হক তাপাদার প্রমূখ।