স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে আদালত পাড়ায় হামলার শিকার হলেন যুবদল নেতা বিল্লাল আহমদ মুন্সী (৩০) হত্যা মামলার আসামীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত পাড়ায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতা রোষানলে পড়েন আসামিরা। পুলিশী পাহারায় থাকাবস্থায়ও তাদের মারধর করা হয়। জনতার রোষানল থেকে রক্ষায় দ্রæত আসামিদের কাস্টডিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুবদল নেতা বিল্লাল আহমদ মুন্সী হত্যায় গ্রেফতারকৃত হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজি রুনু মিয়া মঈনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে এসএমপির শাহপরান (র.) থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুরে আসামিদের আদালতে আনা হলে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশী পাহারায় কিল, ঘুষি, লাথি ও জুতা খুলে মারতে থাকেন। বিশেষ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি রুনু মিয়া মঈনকে টার্গেট করে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর পুলিশ তাদের সেফ কাস্টডিতে নিয়ে যায়।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শাহপরান বাহুবল এলাকায় বিলাল আহমদ মুন্সীকে হত্যা করা হয়। দুই ছাত্রের সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্বর জের ধরে সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকোলে খুন হন বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে বিলাল আহমদ মুন্সী। তিনি নগরের ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুল ছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র দ্বি›েদ্ব বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাটি এলাকায় সালিশ বৈঠকেও গড়ায়। এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষে জড়িয়ে পড়ে যুবদল-ছাত্রদলের উপশহর গ্রæপের নেতাকর্মীরা। ঘটনার রাতে একটি পক্ষে নাদিম, মিজান, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল কবীর সোহেলের নেতৃত্বে যুবদলের উপশহর গ্রæপের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় যান। তারা এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে হামলায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী নিহত হন। নিহত যুবদল নেতার হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাÐের ঘটনায় ২৭ নভেম্বর নিহত বিলালের ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা) মহানগরের শাহপরান থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।